যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের নতুন আগ্রাসনে শত শত ফিলিস্তিনি শহীদ হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এরইমধ্যে এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মুখপাত্র রোলান্ডো গোমেজ বলেন, গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় মহাসচিব মর্মাহত হয়েছেন। জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
গতকাল ভোর থেকে আকস্মিকভাবে বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। এতে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪২৫ জন নিহত হয়েছে। এই আগ্রাসনের মধ্যদিয়ে ইসরাইল গাজার যুদ্ধবিরতি কার্যত ভেঙে দিয়েছেন। গত জানুয়ারি থেকে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে ইসরাইলের এই আগ্রাসনের কারণে গাজায় আবার গণহত্যা পুরো মাত্রায় পুনরুজ্জীবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রোলান্ডো গোমেজ আরো বলেন, জাতিসংঘের প্রধান “যুদ্ধবিরতি মেনে চলা, নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং হামাসের হাতে থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার আবেদন জানিয়েছেন।”
এদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার প্রধান ভলকার টার্ক ইসরাইলি আগ্রাসনের ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেছেন, নতুন এই হামলা ট্র্যাজেডির ওপর ট্র্যাজেডি যোগ করবে। অবিলম্বে এই দুঃস্বপ্নের অবসান হওয়া উচিত। গত ১৮ মাসের সহিংসতা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, এই সংকটের কোনো সামরিক সমাধান নেই।
গাজায় আগ্রাসন নিয়ে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি সতর্ক করে বলেছেন, আবার যুদ্ধ শুরু করা পৃথিবীতে নরকের আগুন উসকে দেয়ার শামিল।
সামাজিক মাধ্যম এক্স পোস্টে তিনি বলেন, রাতভর ইসরাইলি বাহিনীর ভারী বোমাবর্ষণের পর শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের নিহত হওয়ার ভয়াবহ দৃশ্য দেখতে হলো। পার্সটুডে



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.