গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরাইলি পাইলটবিহীন বিমান বা ড্রোন হামলায় তিন সাংবাদিকসহ অন্তত নয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শনিবার একটি ত্রাণ দলকে লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়। সে সময় স্থানীয় সাংবাদিক ও ফটোগ্রাফাররাও ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, বেইত লাহিয়া শহরে গাড়িতে থাকা ত্রাণকর্মীরা দাতব্য সংস্থার জন্য একটি মিশনে ছিলেন। যখন তাদের উপর হামলা চালানো হয় তখন তাদের সাথে সাংবাদিক এবং আলোকচিত্রীরাও ছিলেন।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, দখলদারদের ড্রোন হামলার পর নিহত ৯ ফিলিস্তিনিকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। যার মধ্যে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক এবং আল-খায়ের চ্যারিটেবল অর্গানাইজেশনের কর্মী রয়েছেন।
ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এ হামলাকে ‘ভয়াবহ গণহত্যা’ এবং ‘যুদ্ধ অপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। সংগঠনটি বলেছে, ইসরাইল তাদের মানবিক সাহায্য ও শান্তি আলোচনার দিকে কোনো মনোযোগ না দিয়ে অনর্থক আগ্রাসন চালাচ্ছে। এটি যুদ্ধবিরতির স্পষ্ট লঙ্ঘন। গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি সন্ত্রাসী বাহিনী ১৫০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলের হামলায় মোট ৪৮ হাজার ৫৪৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। আহত হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৯৮১ জন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানায়, গুঁড়িয়ে পড়া ভবনের নিচে বহু ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের অনেককে মৃত মনে করা হচ্ছে।
গত ২ মার্চ থেকে ইসরাইল গাজার ওপর সব মানবিক সহায়তা প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারণে গাজায় সংকট আরও বাড়ছে, বিশেষ করে রমজান মাসে মানুষের খাবার ও পানি সরবরাহের পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষক নিকু জাফারনিয়া জানিয়েছেন, ইসরাইল গাজার পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে। পার্সটুডে



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.