ইউক্রেনের সঙ্গে ৩০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত সপ্তাহে সৌদির রাজধানী রিয়াদে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা শেষে ৩০ দিনের এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
প্রেসিডেন্ট পুতিন বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, তিনি এই প্রস্তাবকে সমর্থন জানান। তবে তিনি সঙ্গে এও জানিয়েছেন, যে কোনো যুদ্ধবিরতির বিষয়টি অবশ্যই দ্বন্দ্বের মূল কারণ সংশ্লিষ্ট হতে হবে এবং এটির বিস্তারিত আরও জানতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ব্রিটেন ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বুধবার ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে একটি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিজেদের দাবিদাওয়ার একটি তালিকা উপস্থাপন করেছিল রাশিয়া। তবে মস্কো ওই তালিকায় ঠিক কী কী অন্তর্ভুক্ত করেছে অথবা সেগুলো মেনে না নেওয়ার আগে তারা কিয়েভের সঙ্গে কোনো ধরনের শান্তি আলোচনায় বসতে আগ্রহী কি না, সে বিষয়টি নিশ্চিয়তা ছিল না।
রাশিয়া ও মার্কিন কর্মকর্তারা মুখোমুখি বৈঠকে চুক্তির শর্ত নিয়ে কথা বলেছেন এবং তিন সপ্তাহ ধরে তাঁদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলেছে। এর আগে ক্রেমলিন ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোর কাছে তাদের যেসব দাবি জানিয়েছিল, এবারের দাবিও কমবেশি সে রকমই।
আগে রাশিয়া যে দাবি জানিয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ নিতে পারবে না। এ ছাড়া ইউক্রেনে কোনো বিদেশি সেনা মোতায়েন করা যাবে না এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্রিমিয়াসহ ইউক্রেনের আরও যে চারটি অঞ্চলের দখল নিয়েছেন, সেগুলোকে রাশিয়ার ভূখণ্ড হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে।
কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কাছে আরও একটি দাবি জানিয়ে আসছে রাশিয়া। সেটা হলো, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর ‘মূল কারণগুলোর’ সমাধান করা, যার মধ্যে ন্যাটোর পূর্ব দিকে বিস্তারের বিষয়টিও রয়েছে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক হামলা চালানোর নির্দেশ দেন পুতিন। এরপর দীর্ঘ তিন বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ওই যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে স্নায়ু যুদ্ধ শুরু হয়।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.