অস্ট্রেলিয়ার একটি পুরনো পাথরের স্ল্যাবে ডাইনোসরের পায়ের ছাপের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ধুলোবালির নিচে চাপা পড়া একটি পাথরের গায়ে ওই ছাপ পাওয়া যায়।
বুধবার (১২ মার্চ) দ্য গার্ডিয়াের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কুইন্সল্যান্ডের গ্রামীণ ব্যানানা শায়ারের জীবাশ্মবিদ অ্যান্থনি রোমিলিও ওই পাথরে থাকা ডাইনোসরের পায়ের ছাপ আবিষ্কার করেন। তিন-আঙ্গুলের চিহ্নের একটি গুচ্ছ পরীক্ষা করতে গিয়ে পায়ের ছাপ পান জানিয়ে তিনি বলেন, স্ল্যাবটিতে প্রায় ২০ কোটি বছর আগে জুরাসিক যুগের কয়েক ডজন জীবাশ্মযুক্ত পায়ের ছাপ রয়েছে। এটি অস্ট্রেলিয়ায় নথিভুক্ত ডাইনোসরের পায়ের ছাপের সর্বোচ্চ ঘনত্বের একটি। এর মাধ্যমে ডাইনোসরের গতিবিধি এবং আচরণের এক অভূতপূর্ব চিত্র পাওয়া গেছে। যদিও এখনো অস্ট্রেলিইয়াতে কোনো জীবাশ্মযুক্ত ডাইনোসরের হাড়ের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ডাইনোসর ১
এই বিজ্ঞানী বলেন, এক বর্গমিটারেরও কম ক্ষেত্রফলের স্ল্যাবে ৬৬টি পৃথক পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। এগুলো মূলত অ্যানোমোইপাস স্ক্যাম্বাস নামে এক ধরনের ডাইনোসরের। একটি মূলয় ছোট ও মোটা উদ্ভিদ খেতো এবং দুই পায়ে হাঁটত।
অমূল্য এ আবিষ্কারের অনুভূতি সম্পর্কে রোমিও জানান, ভাবতেই অবাক লাগে, ইতিহাসের একটা অংশ এতদিন স্কুলের উঠোনে ছিল। ২০০২ সালে কয়লাখনির শ্রমিকরা স্ল্যাবটি খনন করে এবং অস্বাভাবিক পায়ের ছাপ দেখতে পেয়ে এটি ছোট শহর বিলোয়েলার একটি স্কুলে উপহার দেয়। কর্তৃপক্ষ সেটিকে স্কুলের প্রবেশপথে রাখে। গবেষকদের নজরে আসার আগ পর্যন্ত পাথরটি সেখানেই ছিল।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.