মাগুরায় ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুটিকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
শনিবার দুপুরের দিকে শিশুটির শারীরিক অবস্থার তথ্য জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢামেক পরিচালক বলেন, শিশুটির অবস্থা ভেরি ক্রিটিক্যাল। তার গলার আঘাত খুবই মারাত্মক। তার যৌনাঙ্গেও আঘাত রয়েছে। গত রাত ৯টার দিকে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছেন। বাকিটা আল্লাহ ভরসা। শিশুটির চিকিৎসার জন্য পেডিয়াট্রিক, পেডিয়াট্রিক সার্জারি, অ্যানেসথেসিয়া ও গাইনি ডিপার্টমেন্ট মিলে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শিশুটির বড় বোন জানিয়েছেন, সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে এখনও তার জ্ঞান ফেরেনি।
এ ছাড়া চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে শিশুটির মামাতো ভাই বলেন, তার বোন এখনও অচেতন। তার জ্ঞান ফেরেনি। চিকিৎসকেরা বলেছেন, তারা শিশুটিকে আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখবেন।
গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী চরপড়া এলাকায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হিটু মিয়াকে (৪০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। অভিযুক্ত হিটু মিয়া সম্পর্কে ওই শিশুর বোনের শ্বশুর।
শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা তার চাচা মো. ইব্রাহিম শেখ অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাতিজি স্থানীয় একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত শনিবার নিজ বাড়ি থেকে মাগুরার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে বড় বোনের শ্বশুর হিটু মিয়া তাকে একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে নির্যাতন চালায়।
এই ঘটনায় শিশুটির দুলাভাই এবং তার বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী জানান, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। শিশুটির স্বজনরা ঢাকায় থাকায় এখনও মামলা হয়নি। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।
এদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে গতকাল জুমার পর মাগুরা সদরে মহাসড়ক অবরোধ ও থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন ছাত্র-জনতা। এ সময় থানার মূল ফটক ঘেরাও করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি তোলেন। পরে সেনাবাহিনী এসে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.