রমজানে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির মার্কিন প্রস্তাবে রাজি ইসরায়েল

পবিত্র রমজান মাস এবং ইহুদিদের বসন্তকালীন উৎসব পাসওভারের সময় ফিলিস্তিনের গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকরের জন্য মার্কিন প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল। আগামী ছয় সপ্তাহের জন্য গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি ইসরায়েলি সরকারের পক্ষ থেকে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। তবে হামাসের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সাড়া মেলেনি।

রবিবার (২ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ প্রথমে সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন। পরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয় তারা এই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছেন।

এদিকে শনিবার থেকে গাজাসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। একই সময়ে ইহুদিদের বসন্তকালীন উৎসব পাসওভার শুরু হবে আগামী ১২ এপ্রিল, যা চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। এই সময়টুকু যুদ্ধবিরতি চায় যুক্তরাষ্ট্র।

গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি ৪২ দিনের প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। এ সময়ের মধ্যে হামাস ২৫ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় এবং আটজন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহও হস্তান্তর করে। এর বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়। প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে মার্কিন প্রস্তাবে সম্মতি জানানো হয় এবং যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির ১৬তম দিন থেকে দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল, তবে ইসরায়েল প্রতিনিধিদল পাঠাতে বিলম্ব করে। অবশেষে ইসরায়েল গত বৃহস্পতিবার মিশরের কায়রোয় তাদের প্রতিনিধিদল পাঠায়।

তবে জানা গেছে, ইসরায়েল দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি নিয়ে খুব একটা আগ্রহী নয়। তাদের উদ্দেশ্য হলো প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো, যা হামাসের কাছে সমালোচিত হয়েছে।

হামাস জানিয়েছে, তারা প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী নয়। তারা যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময়ের মূল চুক্তি অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা করতেই আগ্রহী।

 

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.