উত্তরাখণ্ডে তুষারধসে নিহত অন্তত ৪, নিখোঁজ ২০

ভারতের প্রত্যন্ত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে তুষারধসে আহত অন্তত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। এ ছাড়া নিখোঁজ আরো ২০ জনকে উদ্ধারের জন্য হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে।

শনিবার (১ মার্চ) দোহা ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছে।

এর আগে শুক্রবার উত্তর হিমালয় রাজ্য উত্তরাখণ্ডের তিব্বত সীমান্তবর্তী মানা গ্রামে একটি নির্মাণ শিবিরে তুষারধস আঘাত হানলে ৫৫ জন শ্রমিক বরফ ও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন।

পরে শনিবার এক বিবৃতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, প্রথমে ৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তবে তাদের মধ্যে চারজন আহত অবস্থায় মারা গেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দুঃখজনকভাবে, চারজন আহত ব্যক্তির মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।’

সেনাবাহিনী আরো জানায়, এখনো পাঁচজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন এবং ‘সড়কপথ বন্ধ থাকায়’ ছয়টি হেলিকপ্টার উদ্ধার অভিযানে নামানো হয়েছে।

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, উদ্ধারকারী দলগুলো ‘অবিরাম ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে’। তিনি এক্সে এক পোস্টে বলেছেন, ‘এই সংকটময় মুহূর্তে ক্ষতিগ্রস্তদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে সরকার সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানা গ্রামটি সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় সেখানে বসবাসকারী লোকজন তীব্র আবহাওয়া থেকে বাঁচতে নিচু অঞ্চলে সরে গেছে। শীতকালে হিমালয়ের উঁচু অঞ্চলে তুষারধস ও ভূমিধস একটি সাধারণ ঘটনা।

এদিকে বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া আরো তীব্র হয়ে উঠছে, পাশাপাশি হিমালয়ের সংবেদনশীল অঞ্চলে উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুতগতিতে বাড়ায় বন উজাড় ও নির্মাণকাজের ফলে বিপর্যয়ের আশঙ্কা বেড়েছে।

২০২১ সালে উত্তরাখণ্ডে বিশাল একটি হিমবাহের অংশ ভেঙে নদীতে পড়লে ভয়াবহ আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি হয়, যাতে প্রায় ১০০ জন নিহত হয়। এর আগে ২০১৩ সালে বিধ্বংসী বর্ষায় বন্যা ও ভূমিধসে ছয় হাজার মানুষ প্রাণ হারায়, যার পর রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো পর্যালোচনার দাবি ওঠে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.