‘লক্ষ্য ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হওয়া’

তরুণদের রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র আত্মপ্রকাশ হওয়া বাকি আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট বড় দলে দলে আসছেন ছাত্র-জনতা। মানিক মিয়া এভিনিউয়ের মঞ্চের দিকে এগোচ্ছেন তারা। আগতরা বলছেন, ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে এসেছি।

এদিকে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত মঞ্চ। বিকেল ৩টায় এই মঞ্চ থেকেই নতুন দলের যাত্রা শুরু হবে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে নেতা কর্মীদের পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত যোদ্ধারা অংশ নেবেন। এ ছাড়া দেশের ৬৪ জেলা থেকেই মানুষ আসবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কূটনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেবেন। ফলে আয়োজনটা অনেক বড় হবে।

দেশের উত্তরের জেলা জয়পুরহাট থেকে ২০০ জনের একটি দল এসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে। তাদের মধ্যে মঞ্জিল হাসান মুরাদ একজন। তিনি তার অনুভূতি জানিয়ে বলেন, জুলাই আন্দোলনে মাঠে ছিলাম। নিজের তাগিদ থেকেই তরুণদের নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এসেছি। মূল লক্ষ্য এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হওয়া।

রাজধানীর উত্তরা থেকে ৮ জন মিলে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে এসেছেন বুলবুল ইসলাম। বুলবুল ইসলাম বলেন, আজ আমাদের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। আজ থেকে দেশের ইতিহাসে তরুণদের দলের নাম লেখা হবে। এটা সব শ্রেণিপেশা মানুষদের প্রত্যাশা, আকাঙ্ক্ষার একটি দল হতে যাচ্ছে। তাই এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতেই অন্যদের মতো আমরা এখানে এসে উপস্থিত হয়েছি। আশা করা যাচ্ছে লাখ লাখ মানুষের সমাগম হবে আজ এখানে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নতুন দলের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনের সামনের সড়ক ও ফুটপাতে চলছে শেষ সময়ের বিশাল কর্মযজ্ঞ। মঞ্চের পাশাপাশি ওয়াশরুম ও বিভিন্ন বুথ নির্মাণেরও কাজও শেষ। ছাত্রদের এই জমায়েতে মেডিকেল টিম, ওয়াশরুম, পুলিশ বুথ, পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে মঞ্চের পেছনে নারীদের জন্য অন্য বুথের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি ভিআইপিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এদিকে আয়োজনের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সবমিলিয়ে লাখো মানুষের এই জমায়েত ঘিরে নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার জুয়েল রানা।

তিনি বলেন, গতকাল মঞ্চ প্রস্তুতের সময় থেকেই আমাদের এক প্লাটুন ফোর্স মোতায়েন রয়েছে। সার্বক্ষণিক আয়োজকদের সঙ্গে সমন্বয় করে তারা যেভাবে চাচ্ছে সেভাবেই নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

জুয়েল রানা বলেন, আজ আয়োজনস্থলে পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। পোশাকধারী ও অস্ত্রধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। আমাদের ট্রাফিক পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া এই নতুন দলের আয়োজন নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.