ভাষা শহীদদের ইতিহাস ভুলা যাবে না: খুশি কবির

১৯৫২ সালের আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে পেয়েছি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পেয়েছি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন দেশ পেয়েছি। তাদের অবদান ভুলে গেলে চলবে না। তাদের মনে রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিজেরাই করি এর কো-অর্ডিনেটর খুশি কবির।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (এফপিএবি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

খুশি কবির আরও বলেন, সম্প্রতি হয়ে যাওয়া আন্দোলনের লক্ষ্য যেন ভুল পথে পরিচালিত না হয়। তরুণ প্রজন্মকে সাবধান থাকতে হবে। সে সময় পাকিস্তান আমাদেরকে অবহেলা করলেও এখন আমরা তাদের থেকে অনেক এগিয়ে গেছি। আমাদের দেশের মানুষের মন মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে। মেয়ে ও পুত্র সন্তানের চাহিদা সংক্রান্ত কুসংস্কার দূর হয়েছে। তাই অতীতের ইতিহাস বুকে ধারণ করেই নতুন করে সামনের দিকে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতির সভাপতি ও জার্মানির সাবেক রাষ্ট্রদূত মাসয়ূদ মান্নান এনডিসি বলেন, একটি স্বাধীন দেশ এক দিনে এমনি এমনি অর্জন হয়ে যায়নি। এর পিছনে বহু মানুষ এবং বহু গোষ্ঠীর অবদান রয়েছে। শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সাংবাদিক ষসহ সব শ্রেণী পেশার মানুষের অকৃত্রিম ভূমিকায় আমরা আজকে স্বাধীন হতে পেরেছি। এজন্য আমাদের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন এসেছে। এখন আমাদের বাংলাদেশের মানুষ নার্সিং পেশাকেও গুরুত্বসহকারে দেখছে। কিন্তু এটা একটা সময় অবহেলিত পেশা ছিল। দেশের মানুষকে সজাগ করতে হলে আমাদের বিভিন্ন আন্দোলন এবং অর্জনের ইতিহাস গুলো তুলে ধরতে হবে। সংস্কৃতির একটি বিশাল ক্ষমতা রয়েছে। গান কবিতা সহ সাংস্কৃতির বিভিন্ন অঙ্গনে তাদের উপস্থিতি জানান দেয়া প্রয়োজন।

এফপিএবি ঢাকা শাখার সভাপতি ইয়াসমিন আরা খানম বলেন, ১৯৪৭ থেকে শুরু করে ২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশের অনেক আন্দোলন হয়েছে। অধিকার আদায়ের আন্দোলন। বাংলাদেশের মানুষ অধিকার আদায় করে নিতে জানে। তারা কখনো অন্যায় সহ্য করে না। ১৯৫২ সালের আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা যে রাষ্ট্রীয় ভাষা পেয়েছি সেই বাংলা ভাষার মাধ্যমে আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ার অনুপ্রেরণা পাই। যুগে যুগে এসব আন্দোলন ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে। তাই আমাদের সংস্কৃতিতে এগুলো ধারণ করা দরকার।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.