স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযানে আমাদের কোনো কর্মচারী বা বাহিনীর কেউ যদি গাফিলতি করে, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তা সে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার বা কারা অধিদপ্তরের হোক, যারা ঠিকমতো কাজ করবে না তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর বনানী সামরিক কবরস্থানে বিডিআর হত্যাকাণ্ডে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের শাহাদাতবার্ষিকী ও ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, গতরাত থেকে শুরু হওয়া অভিযান ও এর সফলতা কতটুকু- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সফলতা-ব্যর্থতা আপনারা (সাংবাদিক) মূল্যায়ন করবেন। আমি তো ভাবছিলাম, আপডেট আপনারা দেবেন। আপনারা সত্য সংবাদটা পরিবেশন করেন। দেখেন আমরা ব্যবস্থা নিই কি না। দুই এসপির বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশনের পর আমরা কিন্তু ব্যবস্থা নিয়েছি। সত্য সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে শহীদ পরিবারগুলোর দুটি মূল দাবি ছিল। একটি বিচারের দাবি, আরেকটি শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা করা। সরকার ইতোমধ্যে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা করেছে এবং এবারই প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে। বিডিআর হত্যাকাণ্ডে জড়িত দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও প্রকৃত ঘটনার উদঘাটন এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করতে জাতীয় স্বাধীন পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিশন ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে বলে আশা করা যাচ্ছে। কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.