বিশ্বে চাল উৎপাদনে শীর্ষ দুই অবস্থানে আছে যথাক্রমে চীন ও ভারত। আর বাংলাদেশ তৃতীয়। বাংলাদেশে একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে, ‘মাছে ভাতে বাঙালি’। তবে শুধু ভাত খাওয়ায় না, চাল উৎপাদনেও এগিয়ে আছে দেশটি।
মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গত ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ৫২ কোটি মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে। এই উৎপাদন তার আগের অর্থবছরের তুলনায় মাত্র ১ শতাংশ বেশি।
ইউএসডিএর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল থেকে ১০ বছরে বাংলাদেশে গড়ে সাড়ে তিন কোটি টন চাল উৎপাদিত হয়। গত অর্থবছর বিশ্বের মোট চাল উৎপাদনের ৭ শতাংশ বাংলাদেশে হয়েছে। পরিমাণ ৩ কোটি ৭০ লাখ টন। গত ২০২২–২৩ অর্থবছরের তুলনায় গত অর্থবছরে বাংলাদেশে চাল উৎপাদন বেড়েছে ২ শতাংশ।
গত অর্থবছর বিশ্বের মোট উৎপাদিত চালের ২৮ শতাংশ উৎপাদন হয়েছে চীনে। পরিমাণ ১৪ কোটি ৪৬ লাখ টন। যদিও ২০২২–২৩ অর্থবছরের তুলনায় গত অর্থবছর চীনের চাল উৎপাদন কমেছে দশমিক ৯১ শতাংশ। এদিকে গত অর্থবছর ভারতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ কোটি ৭৮ লাখ টন চাল উৎপাদন হয়, যা বিশ্বের মোট উৎপাদিত চালের ২৬ শতাংশ।
এ ছাড়া গত অর্থবছর ইন্দোনেশিয়ায় ৩ কোটি ৩০ লাখ টন, ভিয়েতনামে ২ কোটি ৬৩ লাখ, থাইল্যান্ডে ২ কোটি, ফিলিপাইনসে ১ কোটি ২৩ লাখ, মিয়ানমারে ১ কোটি ১৯ লাখ, পাকিস্তানে ৯৮ লাখ এবং কম্বোডিয়ায় ৭৪ লাখ টন চাল উৎপাদন হয়েছে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.