ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাব

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ইস্যুতে জাতিসংঘে উত্থাপনের জন্য শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) একটি খসড়া প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে, সোমবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে কিয়েভ ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা একটি ভিন্ন প্রস্তাব পাস করানোর পরিকল্পনা করছে। এতে পাল্টাপাল্টি প্রস্তাবের কারণে দুপক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তার পরিকল্পনায় কিছুটা অসন্তুষ্ট ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও তার মিত্ররা। তাদের আশঙ্কা, ট্রাম্পের পরিকল্পনামাফিক সব অগ্রসর হলে শান্তি প্রক্রিয়ার কিয়েভ ও ইউরোপ কেবল দর্শক হয়ে যেতে পারে।

তিন প্যারাগ্রাফের সংক্ষিপ্ত মার্কিন প্রস্তাবনার একটি অনুলিপি যাচাই করেছে রয়টার্স। ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতে প্রাণহানির জন্য শোক প্রকাশ করা হয়েছে ওই প্রস্তাবে। পাশাপাশি স্পষ্টভাবে জাতিসংঘের দায়িত্ব পুনরায় উল্লেখ করে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিত করা তাদের কর্তব্য।

এছাড়া, প্রস্তাবটিতে সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া আহ্বান জানানো হয়েছে এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে।

এই প্রস্তাবে সামান্য সংশোধন এনে আরেক প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। এতে সংঘাতের দ্রুত অবসানের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি সংকটের মূল কারণ চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধানে মনোযোগী হওয়া এবং দুদেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘে রুশ স্থায়ী প্রতিনিধি ভ্যাসিলি নেবেনঝায়া মার্কিন প্রস্তাবের প্রশংসা করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশটির এক কূটনীতিবিদ বলেছেন, সাধারণ পরিষদে মস্কোর প্রস্তাব গৃহীত হলে মার্কিন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেবে রাশিয়া।

ইউক্রেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তুত করা খসড়া প্রস্তাবের ওপর সোমবার ভোট গ্রহণের কথা রয়েছে সাধারণ পরিষদে। ওই প্রস্তাবে দ্বন্দ্ব প্রশমন এবং দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান করা হয়েছে এবং জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, জাতিসংঘে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসবেন।

গত একমাস ধরে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন । সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবগুলো আইনি বাধ্যবাধকতা না থাকলেও এগুলো রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে এবং বৈশ্বিক মতামত প্রতিফলিত করে। এখানে কোনও দেশ ভেটো প্রয়োগ করতে পারে না।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.