বড় পুঁজিতে ইংল্যান্ডের রেকর্ড

ফিল সল্ট ও জেমি স্মিথ দ্রুত ফিরলেও ইংল্যান্ডকে পথ দেখিয়েছেন বেন ডাকেট ও রুট। তাদের দুজনের ১৫৮ রানের জুটিতে বড় পুঁজির ভিত পায় ইংলিশরা। ৬৮ রানের ইনিংস খেলে রুট ফিরলেও ডাকেট আউট হয়েছেন ১৬৫ রানে। তাদের দুজনের ব্যাটেই শেষ পর্যন্ত ৩৫১ রানের পুঁজি পেয়েছেন জস বাটলাররা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচ জিততে ৩৫২ রান করতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় তারা। বেন ডোয়ারশিসের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করেছিলেন ফিল সল্ট। তবে মিড অনে দাঁড়িয়ে থাকা ক্যারির অবিশ্বাস্য ক্যাচে ফিরতে হয় তাকে। ইংল্যান্ডের ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ১০ রান। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি জেমি স্মিথও।

ইংল্যান্ডের তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটারও সল্টের মতো একই শট খেলতে গিয়ে মিড অনে ক্যারিকে ক্যাচ দিয়েছেন। দ্রুত রান তুললেও ৪৩ রানে ২ উইকেট হারায় ইংলিশরা। তবে সেখান থেকে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন ডাকেট ও জো রুট। তাদের দুজনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে আর কোন উইকেট না হারিয়ে ৭৩ রান তোলে ইংল্যান্ড। ১৪ ওভারে একশ রানে পৌঁছায় তারা। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৪৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ডাকেট।

আরেক ব্যাটার রুট হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৫৬ বলে। দুজনের ব্যাটে ৩০ ওভারে দুইশ রান স্পর্শ করে ইংল্যান্ড। পরের ওভারে আউট হয়েছেন রুট। অ্যাডাম জাম্পার বলে সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ৬৮ রানের ইনিংস খেলে। রুটের বিদায়ে ভাঙে ডাকেটের সঙ্গে ১৫৮ রানের জুটি। একটু পর ফিরেছেন হ্যারি ব্রুক। জাম্পার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ক্যারির হাতে ক্যাচ দিয়ে গেছেন ৩ রান করা এই ব্যাটার।

দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা ডাকেট পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখাও। জাম্পার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে ৯৫ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তবে জ্বলে উঠতে পারেননি বাটলার, লিভিংস্টোনরা। যদিও ১৩৪ বলে ঠিকই দেড়শ রান করেছেন ডাকেট। ১৬৩ রানের ইনিংস খেলা ডাকেটকে ফিরিয়েছেন ল্যাবুশেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এটিই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ছাড়িয়ে গেছেন নিউজিল্যান্ডের নাথান অ্যাশলের অপরাজিত ১৪৫ রানের ইনিংসকে।

পাকিস্তানের মাটিতে ওয়ানডেতে ব্যক্তিগত ইনিংসের বিবেচনায় এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ। ডাকেটের চেয়ে বেশি রান আছে কেবল গ্যারি কারস্টেন (১৮৮*), ভিভ রিচার্ডস (১৮১) এবং ফখর জামানের অপরাজিত ১৮০ রানের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ৩৬১ রানের পুঁজি পেয়েছে ইংল্যান্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের ৩৪৭ রানকে ছাড়িয়ে গেছে ইংলিশরা। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ডোয়ারশিস তিনটি, জাম্পা ও ল্যাবুশেন পেয়েছেন দুটি করে উইকেট।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.