‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে ব্যাংকিং খাত ঠিক হচ্ছে’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে ব্যাংকিংখাত ঠিক হচ্ছে। একটি ব্যাংক থেকে একক কোন ফ্যামিলি ৮৭ শতাংশ টাকা নিয়ে যায় তাহলে কি সেই ব্যাংক বাচানো সম্ভব?

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামে (ইআরএফ) আয়োজিত সেমিনারে  তিনি এ কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, ইসলামী ব্যাংক থেকে ৭০-৮০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেলেও তারা ঘুরে দাড়িয়েছে।  কারণ এ ব্যাংকটিতে আমানত আসছে। আস্থা বাড়তে থাকায় ব্যাংকটির উন্নতি হয়েছে।

তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংক তারা আবার ঋণ দেওয়া শুরু করছে। আস্থা অনেক বড় শক্তি। আস্থা না  থাকলে শক্তিশালী হলেও  আপনি দুর্বল। আর আস্থা থাক্লে আপনি দুর্বল হলেও শক্তিশালি।

তিনি আরও বলেন, বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণ হচ্ছে আমানত কমে যাওয়া। কারণ নতুন যে আমানত আসছে তার বড় একটা অংশ সরকার নিয়ে নিচ্ছে।

তিনি বলেন, ২২ হাজার কোটি টাক দেওয়াতে স্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করা হয়েছে। কারণ এখানে আমানতকারীর সার্থ দেখা হয়েছে। ভবিষ্যতে যে ফান্ড দেওয়া হত সেটা এখনই দেওয়া হচ্ছে।

এছাড়াও তিনি বলেন, ট্রেজারি বিলের ১০ শ লতাংশের নীচে নেমেছে। কারণ এখানে ম্যানুপুলেট করা যায় না। জোগান ও চাহিদা মোতাবেক তা সুদের হার নির্ধারণ করবে। দুই মাস আগে ১২ শতাংশের উপরে ছিল।

গভর্নর বলেন, সরকারের কাছে বিনিয়োগ করে ব্যাংকগুলো সুয়ে সুয়ে পয়সা পেত। এখন সেটা হবেনা। কারণ আমানত সংগ্রহ করে সেটা ঋণ দিয়ে ব্যবসা করতে হবে। পলিসি রেট কমাই আর না কমাই মার্কেট রেট কমে যাবে।

তিনি বলেন, পাচার করা টাকা ফেরত নিয়ে আসতে ৪-৫ বছর সময় লাগে। আমাদেরও সময় লাগবে। তবে প্রত্যাশা থাকবে, পরবর্তী সরকারে যারা আসবেন, তারা যেন সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, এই কাজের শুরুটা করে দেওয়া।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.