সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি বাড়ির ভেতরে অবশিষ্ট বিস্ফোরক পদার্থ বিস্ফোরিত হয়ে বৃহস্পতিবার নারী, শিশুসহ ৭জন নিহত হয়েছে। যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ তথ্য জানিয়েছে। এর এক দিন আগেই আরেকটি সংস্থা সতর্ক করেছিল, সিরিয়ার দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ অবিস্ফোরিত অস্ত্রের কারণে হতাহত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
নিহতের সংখ্যা প্রাথমিক উল্লেখ করে অবজারভেটরি বলেছে, ‘ইদলিব প্রদেশের একটি বাড়ির ভেতরে মজুদ থাকা অবশিষ্ট গোলাবারুদ বিস্ফোরিত হয়ে নারী, শিশুসহ সাতজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
একজন এএফপি সংবাদদাতা বেসামরিক সুরক্ষা সংস্থার কর্মীদের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ও ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ি থেকে নিহতদের উদ্ধার করতে দেখেছেন। সংস্থাটির কর্মী মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘আমরা নাইরাবে অজানা উৎস থেকে একটি বিস্ফোরণের খবর পাই। দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সেখানে অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ পাওয়া যায়।’
২০১১ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের দমন-পীড়ন থেকে শুরু হওয়া সিরিয়ার সংঘাতে এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
বেসরকারি সংস্থা হিউম্যানিটি অ্যান্ড ইনক্লুশন (এইচআই) বুধবার জানিয়েছে, তখন থেকে সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০ লাখ গোলাবারুদ নিক্ষিপ্ত বা পুঁতে রাখা হয়েছে, যার মধ্যে এক থেকে তিন লাখ এখনো বিস্ফোরিত হয়নি বলে বিশেষজ্ঞদের অনুমান।
এইচআইয়ের সিরিয়া প্রগ্রামের পরিচালক দানিলা জিজি বলেন, ‘এটি একটি সম্পূর্ণ বিপর্যয়। দেশটির আনুমানিক ২.৩ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ১.৫ কোটিরও বেশি মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছে।’
ইসলামপন্থী বিদ্রোহীরা দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদকে ডিসেম্বরে ক্ষমতাচ্যুত করার পর অসংখ্য সিরীয় তাদের বাড়িতে ফিরতে শুরু করায় ‘দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার’ বলে জানিয়েছে এইচআই।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.