হৃদয়ের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের ২২৮ রান

মোহাম্মদ শামি ও অক্ষর প্যাটেলের বোলিং তোপে মাত্র ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। একশর আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হলেও সেটা হতে দেননি জাকের আলী অনিক ও তাওহীদ হৃদয়। তাদের দুজনের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে টাইগাররা। জাকের অবশ্য পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। আউট হয়েছেন ৬৮ রানের ইনিংস খেলে।

জাকের না পারলেও সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন হৃদয়। ক্র্যাম্পের কারণে ধুঁকলেও দারুণ ব্যাটিং করে গেছেন তিনি। হৃদয়ের সেঞ্চুরিতে শেষ পর্যন্ত ২২৮ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ভারতের হয়ে একই ৫ উইকেট নিয়েছেন শামি। এদিন ওয়ানডেতে দুইশ উইকেটের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন ভারতের তারকা পেসার। এ ছাড়া ৩ উইকেট নিয়েছেন হার্শিত রানা।

জাকের আলী অনিককে সঙ্গে নিয়ে ১৫৪ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে পথ দেখিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। সাবধানী ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হৃদয় সেঞ্চুরিও করেছেন। মোহাম্মদ শামির বলে অফ সাইডে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল দিয়ে ১১৪ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটিই হৃদয়ের প্রথম সেঞ্চুরি।

যদিও প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মোহাম্মদ শামির অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারিটি ইনসুইং করে ভেতরে ঢোকে যা সৌম্যের ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুলের মুঠোয় চলে যায়। ফলে পাঁচ নবলে শূন্য রানে ফিরেন শান্ত।

দ্বিতীয় ওভারে নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেটও হারায় বাংলাদেশ। হার্শিত রানার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে শর্টে বিরাট কোহলির মুঠোয় ধরা পড়েন শান্ত। দুই বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি শান্তও। দুই রানে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারে প্রথম বাউন্ডারির দেখা পায় বাংলাদেশ। মোহাম্মদ শামির করা ওভারে কভার এবং এক্সট্রা কভারে দুটি বাউন্ডারি হাঁকান তানজিদ হাসান তামিম।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.