কুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে, ভিসি ও প্রো-ভিসিকে বর্জন

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে আগের মতো রাজনীতি নিষিদ্ধ বহালসহ সকল একা‌ডে‌মিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়া‌রি পর্যন্ত স্থ‌গিত করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহাদুজ্জামান শেখ।

সিন্ডিকেট সভায় গতকাল মঙ্গলবারের হামলায় জড়িতদের বহিষ্কার, বহিরাগতদের বিরুদ্ধে মামলা, আহতদের চিকিৎসা খরচসহ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সম্পৃক্ততা পেলে আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমে যুক্ত থাকতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে সিন্ডিকেট সভায়।

এদিকে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিকেলের দিকে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, আমরা ভিসি, প্রো-ভিসিকে বর্জন করলাম। তারা শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করেননি। আমরাই বর্জন করলাম। আমরা হল ত্যাগ করব না। হলেই থাকব। কুয়েট এখন অভিভাবক শূন্য। প্রধান উপদেষ্টাসহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, কুয়েট নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নেই। সকলে আমাদের সহযোগিতা করুন। আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই। কাল নতুন ভিসি নিয়োগ হলে কালই ক্লাসে ফিরব।

তারা আরো বলেন, ভিসি ও প্রো ভিসি অবরুদ্ধ নয়। আমরা তাদের বর্জন করেছি। তারা চাইলে চলে যেতে পারেন।

ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে; এতে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। এসব ঘটনায় ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

বুধবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসের ফটকের চারপাশে অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। টহল দিতে দেখা গেছে সেনাবাহিনীকেও। তবে কোনও ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি। দুপুরের দিকে উপাচার্যের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.