মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের জন্য গুগল মানচিত্রে ‘আমেরিকা উপসাগর’ নাম পরিবর্তনের অভিযোগে গুগলের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছে মেক্সিকো।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুরো ‘গালফ অব মেক্সিকো’র নাম বদলের ইঙ্গিত দেননি। তিনি শুধু আমেরিকার পাশে যে অংশটি পড়ে সেই অংশের নাম পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছেন। যা মার্কিন উপকূল থেকে ২২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত; পুরো উপসাগরের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। কিন্তু গুগল ম্যাপে পুরো ‘মেক্সিকো উপসাগর’-এর নামের জায়গায় ‘আমেরিকা উপসাগর’ দেখাচ্ছে।
শেইনবাউম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বিষয়টির সঙ্গে একমত নই। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই বিষয়টি নিয়ে গুগলের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। টেক জায়ান্ট যদি ‘ভুল নাম’ সংশোধন না করে তবে দেওয়ানি মামলার মুখোমুখি হতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শেইনবাউম জানুয়ারিতে মেক্সিকো কর্তৃক পাঠানো একটি চিঠির প্রতি গুগলের প্রতিক্রিয়া পড়ে শোনান। যেখানে টেক জায়ান্টের অঞ্চলটির নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হয়েছিল। গুগলের চিঠিতে পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে, আমরা দুই সপ্তাহ আগে ঘোষণা করেছিলাম যে আমাদের নীতিমালার সাথে সামঞ্জস্য রেখে গুগল ম্যাপে পরিবর্তনগুলো তুলে ধরা হবে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে মেক্সিকোতে ম্যাপ ব্যবহারকারীরা ‘মেক্সিকো উপসাগর’ নামটি দেখতে পাবেন।
শেইনবাউম বলেন, মেক্সিকো এখন গুগলকে একটি নতুন চিঠি পাঠাচ্ছে, যেখানে লেখা আছে, আপনার গুগল ম্যাপস প্ল্যাটফর্মে ‘আমেরিকা উপসাগর’ নামটির উল্লেখ অবশ্যই মার্কিন নিয়ন্ত্রণের অধীনে থাকা সামুদ্রিক এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। এই অঞ্চলের বাইরে যে কোনও সম্প্রসারণ হলে মেক্সিকো সরকার প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আইনি পদক্ষেপ নেয়ার আগে মেক্সিকো গুগলের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করবে বলে শাইনবাউম মন্তব্য করেন। পার্সটুডে



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.