বাংলাদেশ সরকার চাইলে তিস্তা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত চীন। বছর চারেক আগে তিস্তা প্রকল্পে সহায়তা চেয়ে প্রস্তাব পাঠালে পরবর্তীতে বাংলাদেশ আর কোনো প্রতিক্রিয়া জায়াননি। চীন মনে করে ওই অঞ্চলের মানুষের মঙ্গলের জন্য তিস্তা প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিত।
মঙ্গলবার (১৮ ফ্রেবুয়ারি) ঢাকায় চীন দূতাবাসে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
তিনি বলেন, তিস্তা নদীর পাড়ে যে হাজার হাজার মানুষ থাকে তাদের মঙ্গলের জন্য এটি যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন করা উচিত। তবে, একটি সার্বভৌম দেশ হিসাবে এটি বাংলাদেশ নিজে করতে পারে অথবা চীনের সহায়তা নিয়ে করতে পারে। ২০২১ সালে তিস্তা প্রকল্পের সমীক্ষা যাচাইয়ে বাংলাদেশ সরকার সহায়তা চাইলে চীন সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পরে ২০২৩ সালে তাদের রিপোর্ট জমা দেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনও উত্তর তারা পায়নি বলে তিনি জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এছাড়া এখন পর্যন্ত ৩০টি কোম্পানি চীনা অর্থনৈতিক ও শিল্প জোনে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং তারা ১০০ কোটি ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগে আগ্রহী। চীন আশা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত চীনা শিল্প পার্ক করার অনুমোদন দেবে। উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ, অনুবাদ করার জন্য অনুবাদক তৈরি করা এবং চিকিৎসার অন্যান্য ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে। সবকিছু ঠিকমতো চললে আগামী মার্চ থেকে বাংলাদেশ থেকে প্রথম রোগীর দল চীনে চিকিৎসা পাবে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.