প্রবাসী আয় বাড়ায় দেশের রিজার্ভের পরিমাণও বাড়ছে। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিপিএম-৬ অনুযায়ী ২ হাজার ৬১ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ৫৮৭ কোটি ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২ হাজার ৬১ কোটি ডলার।
তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, তা হলো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুব একটা প্রকাশ করে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা উপরে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়।
এদিকে চলতি ফেব্রুয়ারির প্রথম ১৫ দিনে দেশে এসেছে ১৩১ কোটি ২২ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৬ কোটি ৬৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
উল্লেখ্য, নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের ‘বিপিএম-৬’ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.