যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে তিন ইসরাইলি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার পর ইসরাইলি কারাগার থেকে ৩৬৯ জন ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দিয়েছে দখলদার সরকার। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে চার ফিলিস্তিনির শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লাহর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে ইসরাইলি বন্দীদের রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এ সময় তিন বন্দীর হাতে উপহারের ব্যাগ এবং একটি প্রশংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন- আমেরিকান-ইসরাইলি নাগরিক ইয়াইর হর্ন এবং রাশিয়ান-ইসরাইলি সাগুই দেকেল-শেন ও সাশা ত্রুফানভ নামের এক ইসরাইলি।
তাদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগার থেকে ৩৬৯ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে বেশিরভাগই গাজায় গেছেন। কেউ কেউ আবার পশ্চিম তীরে গেছেন। তাদেরকে স্বাগত জানাতে গাজার খান ইউনিসে জড়ো হন স্বজনরা। পশ্চিম তীরেও মুক্ত ফিলিস্তিনিদের স্বাগত জানাতে জড়ো হন অনেক মানুষ। তাদের কারো কারো হাতে ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা।
ফিরে আসা এক ফিলিস্তিনি বলেন, আমরা কখনও মুক্ত হতে পারব বলে আশা করিনি। আল্লাহ মহান। তিনি আমাদেরকে মুক্ত করেছেন। পশ্চিম তীরে এক ইসরাইলি সেনাকে হত্যা করার কারণে এই ফিলিস্তিনি দুই মেয়াদে যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছিলেন। তিনি ফিলিস্তিনের আল-আকসা শহীদ ব্রিগেডের সাবেক কমান্ডার।
মুক্তি পাওয়া আরেক ফিলিস্তিনি বলেন, এখন আমরা একটু শ্বাস নিতে পারছি।
গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে ছয়বার ইসরাইলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দী বিনিময় হয়েছে। গতকাল তিনজনসহ এ পর্যন্ত মোট ১৯ জন ইসরাইলি বন্দী মুক্তি পেয়েছে। পার্সটুডে



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.