চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘এ’ গ্রুপ থাকা বাংলাদেশের তিন স্পিনার, নিউজিল্যান্ডের দুই এবং স্বাগতিক পাকিস্তান মাত্র একজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে স্কোয়াড সাজিয়েছে। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে আবরার ছাড়াও অবশ্য খুশদিল শাহ আছেন স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে। অথচ দুবাইয়ে খেলতে যাওয়া ভারতের স্কোয়াডে ৫ স্পিনার। দুবাইয়ের উইকেট খানিকটা স্পিন সহায়ক হলেও পাঁচ স্পিনার নেয়ার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
ভারতের প্রাথমিক স্কোয়াডে আগে থেকেই ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, ওয়াশিংটন সুন্দর এবং কুলদীপ যাদব। শেষ বেলায় এসে বরুণ চক্রবর্তীকেও স্কোয়াডে যুক্ত করে। প্রাথমিক স্কোয়াড থেকে দুটি পরিবর্তন আনে ভারত, যার একটি বরুণ। চোটের কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা হচ্ছে না জসপ্রিত বুমরাহর। তারকা পেসারের বদলি হিসেবে নেয়া হয়েছে হার্শিত রানাকে।
১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্টের জন্য রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে রাখা হয়েছিল যশস্বী জয়সাওয়ালকে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে তাকে সরিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সিরিজসেরা হওয়া বরুণকে জায়গা দেয় ভারত। ফলে আগের চারজনের সঙ্গে বরুণ যুক্ত হওয়ায় ভারতের স্কোয়াডে স্পিনারের সংখ্যা পাঁচে গিয়ে থেমেছে। অথচ অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়াকে বাদ দিলে স্কোয়াডে বিশেষজ্ঞ পেসার মাত্র তিনজন।
মোহাম্মদ শামির সঙ্গে আছেন আর্শদীপ সিং ও হার্শিত। অশ্বিন বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না আমরা কেন এত স্পিনার নিয়ে দুবাইয়ে যাচ্ছি । ৫ স্পিনার, আবার জয়সায়ালকেও বাদ দিয়েছি। হ্যাঁ, আমরা দেশের বাইরে তিন-চারজন স্পিনার নিয়ে যাই। কিন্তু তাই বলে দুবাইয়ে ৫ স্পিনার? আমি জানি না, কেন। দুজন বাঁহাতি স্পিনার আছে, যারা কি না হার্দিক পান্ডিয়ার মতো দলের সেরা অলরাউন্ডার। অক্ষর ও জাদেজা দুজনই একাদশে থাকবে। হার্দিক ও কুলদীপও খেলবে। বরুণকে নিতে হলে একজন পেসারকে বাদ দিতে হবে। আবার তৃতীয় পেসার খেলাতে হলে বাদ দিতে হবে একজন স্পিনারকে।’
স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে একাদশে অক্ষর ও জাদেজার জায়গায় নিশ্চিত। বোলিংয়ের পাশাপাশি দারুণ ব্যাটিং করতে পারায় তাদের খেলা নিয়ে খুব বেশি সংশয় নেই। আইসিসির টুর্নামেন্টে কুলদীপ যাদবের পারফরম্যান্সই তাকে এগিয়ে রাখবে। অশ্বিন বলেন, ‘কুলদীপ একাদশে থাকবে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তাহলে বরুণকে কীভাবে জায়গা দেবে। হয় কুলদীপ-বরুণকে একসঙ্গে খেলাতে হবে, সেটা ভালোই হবে বলে আমি মনে করি। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, দুবাইয়ে কি বল এতটা টার্নের আশা করছেন আপনি? সম্প্রতি আইএলটি-২০’তে আমরা দেখেছি বল অতোটা টার্ন করেনি এবং দলগুলো খুব সহজেই ১৮০ রান তাড়া করেছিল। আমি এই দল নিয়ে কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছি।’



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.