শেখ হাসিনা পালানোর পরপরই অর্ধেক সংস্কার হয়ে গেছে। বাকি সংস্কার নির্বাচিত সরকারের করা উচিত বলে মনে করেন বিএনপি নেতারা। তারা সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ না করে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি করেছেন।
গতকাল বুধবার কেন্দ্র ঘোষিত চার জেলায় পৃথক সমাবেশে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতারা।
নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা, পতিত ফ্যাসিবাদের চক্রান্ত মোকাবিলাসহ বিভিন্ন দাবিতে সমাবেশ করে বিএনপি।
খুলনা খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার (১১ ফেব্রুয়ারি) নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে জেলা বিএনপির সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যর্থ। তাদের অনেকেই পতিত শেখ হাসিনা সরকারের সহযোগী ও রাষ্ট্র পরিচালনায় অদক্ষ। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া কেউ সংবিধান সংশোধন করতে পারে না। এ জন্য সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ না করে ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।’
এদিন সিরাজগঞ্জ থেকে জানা যায়, শহরের ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ফ্যাসিবাদের বিচারসহ সংস্কারের যেসব দাবি উঠছে, এগুলোর আগে দরকার সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক সরকার। জেলা বিএনপির সভাপতি রোমানা মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয়
এছাড়া লালমনিরহাট শহরের রেলওয়ে মুক্তমঞ্চ মাঠে জেলা বিএনপির সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রাজনীতি করার অধিকার সবারই রয়েছে। আপনারা (উপদেষ্টারা) রাজনীতি করতে চাইলে পতাকা খুলে বাড়িতে আসেন।
অপরদিকে সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে জেলা বিএনপির সমাবেশে দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমরা ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চাই। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.