ইসরায়েলি সকল জিম্মিকে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের মধ্যে মুক্ত না করলে হামাসকে ‘জাহান্নামের আগুন’ দেখানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন নির্দেশের ব্যত্যয় ঘটলে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি বাতিলের হুমকিও দেন তিনি।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ওভাল অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
‘আমি এত কিছু বুঝি না। শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করা না হলে যুক্তবিরতি প্রত্যাহার করা হবে,’ বলেন তিনি।
এ সময় জিম্মিদের ধাপে ধাপে মুক্তির বদলে একসঙ্গে সবাইকে মুক্ত করার দাবি করেন তিনি।
এদিকে জর্ডান ও মিশর ঘরছাড়া ফিলিস্তিনিদের জায়গা না দিলে জর্ডানকে দেওয়া মার্কিন অর্থসহায়তা আটকে রাখা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প।
এ নিয়ে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ দ্বিতীয়র সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদিকে গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের দখল প্রতিষ্ঠাবিষয়ক ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
ট্রাম্পের মন্তব্যের পর মার্কিন প্রশাসন জানায়, গাজা পুনর্নির্মাণের জন্য এলাকার বাসিন্দাদের ‘সাময়িকভাবে’ অন্যত্র সরানো হবে। তবে পরবর্তী সময়ে প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করেছেন, সাময়িক নয়- স্থায়ীভাবেই গাজা অধিবাসীদের ঘরছাড়া করতে চান তিনি।
এ প্রসঙ্গে ফক্স নিউজিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘তাদের (গাজাবাসী) জন্য স্থায়ী আবাসস্থল তৈরির করার কথা বলেছি আমি।’
এ সময় জর্ডান ও মিশরকে দেওয়া বিপুল পরিমাণ মার্কিন অর্থসহায়তার কথা মনে করিয়ে ট্রাম্প জানান, ঘরছাড়া ফিলিস্তিনিদের এই দুই দেশের জায়গা দিতেই হবে।
তবে ট্রাম্পের প্রস্তাবে নড়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মহল। তাকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আখ্যা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট মধ্যপ্রাচ্যে আবার ‘আগুন জ্বালানোর পাঁয়তারা’ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন হামাসের উচ্চপদস্থ সামি আবু জুহরি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনিদের উৎখাত করার পরামর্শ দেওয়ায় মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকটি আরব দেশ ও মানবাধিকার সংগঠন।
ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে- এই অভিযোগে বন্দিবিনিময় পিছিয়েছে হামাস।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.