যুদ্ধবিরতি শর্ত মেনে আরও ৩ জিম্মিকে মুক্তি দিচ্ছে হামাস

যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে ফিলিস্তিনের গাজায় জিম্মি থাকা তিনজনকে আজ শনিবার মুক্তি দেবে হামাস। হামাসের পক্ষ থেকে এই তিনজনের নাম জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সংগঠনটি জানিয়েছে, ইসরায়েলের কারাগারগুলোয় বন্দী থাকা ১৮৩ জন ফিলিস্তিনিকেও আজ মুক্তি দেওয়া হবে।

হামাসের পক্ষ থেকে যে তিনজনের নাম জানানো হয়েছে, তাঁরা সবাই বেসামরিক ব্যক্তি। তাঁরা হলেন এলি শারাবি, ওহাদ বেন আমি এবং ওর লেভি।

হামাসের পক্ষ থেকে আজ মুক্তি পেতে যাওয়া এই তিনজনের নামের তালিকা পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। বলা হয়েছে, এই তিনজনের পরিবারকে তাদের স্বজনদের মুক্তির কথা জানানো হয়েছে।

এর আগে গতকাল জিম্মি ও নিখোঁজ থাকা ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত ফোরামের পক্ষ থেকেও তাঁদের তিনজনের মুক্তির খবরকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের পক্ষ থেকেও ৩৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্ত করা হয়েছে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ের জন্য নির্ধারিত ৩ সপ্তাহের সময়সীমায় হামাসের পক্ষ থেকে আরও ৩৩ জন জিম্মি এবং ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। যদিও ইসরায়েল বলছে, ওই ৩৩ জিম্মির মধ্যে ৮ জন মারা গেছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালায় হামাস। জিম্মি করে গাজায় আনা হয় ২৫১ জনকে। নিহত হন ১ হাজার ২০০ মানুষ। ওই দিনই গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। শুরু হয় যুদ্ধ।

এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে গাজায় অন্তত ৪৭ হাজার ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। হামাস–নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য এটা। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় দুই-তৃতীয়াংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।

যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও গাজাবাসীর ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। এর কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার পর গত সপ্তাহে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছেন। গাজা খালি করতে চান তিনি। ট্রাম্পের এ পরিকল্পনার কড়া সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ ও আরব দেশগুলো।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.