এমিরেটস এয়ারলাইন যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন অন্ধদের স্কুল, সেন্সরী সেবা প্রদানকারী এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সহায়তাকারী বিভিন্ন সেন্টারে ১২ হাজারের অধিক আইশেড প্রদান করেছে। এই আইশেডগুলো এয়ারলাইনটির প্রথম শ্রেণীর যাত্রীদের প্রদান করা হয়ে থাকে। অভূতপূর্ব এই উদ্যোগ স্কটলেন্ডের এক সৃজনশীল শিক্ষিকার দ্বারা অনুপ্রাণিত। তিনি প্রমান করে দেখিয়েছেন কীভাবে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদানে এই আইমাস্কগুলো সফলভাবে ব্যবহৃত হতে পারে।
ট্রেসি পীয়ার্স এডিনবার্গের রয়্যাল ব্লাইন্ড স্কুলে অবস্থিত ‘সাইট স্কটল্যান্ড’ এর একজন আউটরিচ টিচার। তিনি এবং তার সহকর্মীরা স্কটল্যান্ডের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে কাজ করেন। এছাড়াও তারা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী যুবক যুবতীদের কীভাবে সহায়তা প্রদান করা যায়, তার ওপর শিক্ষক এবং সহায়তাকারী স্টাফদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। প্রশিক্ষণের সময় তারা প্রায়ই আইশেড ব্যবহার করেন যাতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে বাস্তবিক ধারণা পেতে পারেন। এই প্রশিক্ষণের লক্ষ্য হলো চিন্তা উদ্রেককারী অভিজ্ঞতাকে উৎসাহিত করা। এটা এমন এক অভিজ্ঞতা যার মধ্য দিয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের প্রতিদিন অতিবাহিত করতে হয়।
এমিরেটস এই ধারণাটির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন স্কুল এবং সেন্টারে ইতোমধ্যে ১২ হাজার ২৫০টি আইশেড প্রদান করেছে। এর মধ্যে রয়েছে গাইড ডগস ফর দা ব্লাইন্ড এসোসিয়েশন, লার্নিং এন্ড ইনক্লুশন সেন্টার, সেন্সরী সার্ভিস প্রোভাইডার, স্বল্প দৃষ্টি সম্পন্নদের জন্য স্কুল এবং পূনর্বাসন কেন্দ্র।
এমিরেটস বর্তমানে একটি সৃজনশীল এপ ‘বি মাই আইজ’ নিয়ে কাজ করছে, যা বিশ্বে প্রথম। এই এপের মাধ্যমে অন্ধ এবং স্বল্প দৃষ্টি সম্পন্নরা ভিডিও সহায়তা পাচ্ছেন। তারা এই এপটি তাদের স্মার্টফোনে প্রি-ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এরপর প্রয়োজনে তারা এমিরেটস কলসেন্টারের মাধ্যমে তারা ভিডিও ভিত্তিক সহায়তার জন্য কল করতে পারেন। এমিরেটসের প্রশিক্ষিত এজেন্টরা এসকল গ্রাহকদের ভিডিওর মাধ্যমে তাদের হাঁটাচলা, কোনও স্থান খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে গাইড করে থাকেন।
এমিরেটস অন্ধ এবং স্বল্প দৃষ্টিসম্পন্ন গ্রাহকদের বিভিন্ন উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে থাকে, যার ফলে এসকল গ্রাহকরা এমিরেটসের ওয়েবসাইট ভিজিট করা, বুকিং করাসহ বিমানবন্দরে, ফ্লাইটে প্রয়োজনীয় সেবা সহজে পেতে পারেন। এমনকি তারা ইনফ্লাইট বিনোদন প্রোগ্রামে বিভিন্ন কনটেন্ট উপভোগ করতে পারেন।
অর্থসূচক/
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.