শিবলী রুবাইয়াতের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমোদন দুদকের

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মামলা দায়ের হতে পারে বলে নিশ্চিত করেছে দুদকের একটি সূত্র।

এদিকে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও তবে কোনো মামলায় বা অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানা যায়নি।

গত ২৫ জানুয়ারি সরকার বিএসইসির দায়িত্বে থাকার সময় শেয়ারবাজারে লুটপাটে সহায়তা করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামসহ বিএসইসির সাবেক ও বর্তমান ৯ জনের পাসপোর্ট বাতিল করে। পাশাপাশি এই ৯ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া শিবলী রুবাইয়াত ও তার ছেলে জুহায়ের সারার ইসলামের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে অবরুদ্ধ করা হয়েছে তাদের সব বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব।

বিএসইসির চেয়ারম্যান থাকাকালীন পুঁজিবাজারের সূচক বাড়াতে কারসাজিকারীদের প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগ রয়েছে শিবলীর বিরুদ্ধে। তার প্রশ্রয়ে শেয়ারবাজারে একটি বড় চক্র গড়ে ওঠে। তিনি নিজেও বিভিন্নভাবে নানা বক্তব্যের মাধ্যমে বাজারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতেন এবং বড় বড় কারসাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে নীরব ভূমিকা রাখতেন বলেও অভিযোগ। তার সময়েই লুটপাট হয় মিউচুয়াল ফান্ডের অর্থ।

মিলিয়ন ডলার জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত একটি ব্যাংক হিসাব থেকে শিবলী রুবাইয়াতের কাছে অর্থ এসেছে বলে অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্টের (ওসিসিআরপি) প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এ অর্থ লেনদেনের সঙ্গে জাভেদ মতিনের নাম পাওয়া গেছে এবং তিনি শিবলী রুবাইয়াতের বন্ধু বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতকে ২০২০ সালে প্রথম দফায় বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত সাধারণ বীমা করপোরেশনেরও (এসবিসি) চেয়ারম্যান ছিলেন।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.