মহাখালী রেললাইন অবরোধ তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপান্তরের দাবিতে মহাখালী রেলক্রসিং অবরোধ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে সড়ক ও রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলের দিকে আন্দোলনকারীরা মহাখালী রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

সূত্র জানায়, বিকাল ৩টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে নোয়াখালীর উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যায়। পরে শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে মহাখালীর আগে ট্রেন থামিয়ে ফেলেন চালক। পরে প্রায় আধঘণ্টা থেমে থাকার পর ট্রেন পেছনে গিয়ে তেজগাঁও রেলস্টেশনে রাখা হয়।

দেখা গেছে, মহাখালী রেলক্রসিং অবরোধ করে আন্দোলন করছেন তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী হুইলচেয়ারে বসে আন্দোলনে যোগ দেন। তারা রেলপথ বন্ধ করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। ‘আমার ভাইয়ের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে; শাহবাগ না মহাখালী, মহাখালী মহাখালী; অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন; উই ওয়ান্ট জাস্টিস; আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম; তিতুমীর আসছে, রাজপথ কাঁপছে; আমার ভাই অনশনে, প্রশাসন কি করে; প্রশাসনের সিন্ডিকেট, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য, চলবে না চলবে না’সহ শিক্ষার্থীদের নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি আদায় না হবে ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। তবে জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া অ্যাম্বুলেন্স ও রোগী পরিবহনের গাড়ি ছাড়া অন্য কোনও গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তারা বলেন, পর্যায়ক্রমে আন্দোলন আরও তীব্র আকার ধারণ করবে।

এদিকে মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়া চেষ্টা করছেন। তারা মাইকিং করে শিক্ষার্থীদের সরে যাওয়া অনুরোধ করছেন। পরে তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) জাকারিয়া বলেন, ‘আমরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সড়ক ও রেলপথ ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করছি। তারা সড়ক ছেড়ে না দিলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আদেশে আমরা অ্যাকশনে যেতে পারি।’

এর আগে, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিতুমীর কলেজের সামনের মহাখালী-গুলশান সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে এ সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিকাল ৩টার দিকে কলেজের সামনে থেকে আন্দোলনরত একদল শিক্ষার্থী একটি মিছিল নিয়ে মহাখালী আমতলী হয়ে রেলক্রসিং এলাকায় এসে রেলপথ বন্ধ করে দেন।