হামাস আমাদের সকল চাহিদা পূরণ করেছে: মুক্তিপ্রাপ্ত ইসরাইল পণবন্দি

বন্দিদশায় হামাস যোদ্ধারা তার সকল প্রয়োজন পূরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন গাজা উপত্যকা থেকে মুক্তি পাওয়া ইসরাইলি পণবন্দি কেইথ সিগেল। যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের চতুর্থ পর্যায়ে যে তিন পণবন্দি মুক্তি পেয়েছেন সিগেল তাদের অন্যতম। সিগেলের মার্কিন নাগরিকত্বও রয়েছে।

শনিবার মুক্তি পাওয়ার আগে ধারন করা এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আমি (হামাসের সামরিক বাহিনী) আল-কাসসাম ব্রিগেডকে সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিগত ১৫ মাস আপনারা আমাদের সঙ্গে সদয়াচরণ করেছেন।

রোববার আল-কাসসাম ব্রিগেড ভিডিওটি প্রকাশ করে। এতে ওই পণবন্দি আরো বলেন, আমাকে পাহারায় থাকা যোদ্ধারা আমার সব প্রয়োজন পূরণ করেছেন। তারা আমাকে খাদ্য, পানীয়, ওষুধ ও ভিটামিন সরবরাহ করেছেন, চোখের চিকিৎসা করিয়েছেন, রক্তচাপ পরীক্ষা করেছেন এবং অন্যান্য সব প্রয়োজন মিটিয়েছেন। যোদ্ধারা আমার জন্য আমার স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রেখে আমার জন্য তেলমুক্ত ভেজিটেরিয়ান ফুডের ব্যবস্থা করেছেন। রক্ষীরা আমার সঙ্গে সদয় আচরণ করেছেন।

মুক্তিপ্রাপ্ত এই পণবন্দি আরো আগে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি না করায় তেল আবিবের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, আরো আগে যুদ্ধ শেষ হলে উভয় পক্ষের জানমালের বহু ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হতো।

এর আগে ৮০ বছর বয়সি পণবন্দি গাদি মোসেস গত বৃহস্পতিবার গাজা থেকে মুক্তি পেয়ে ইসরাইলে ফিরে গিয়ে তার পরিবারকে বলেছেন, গাজায় তার সঙ্গে ‘সম্মানজনক আচরণ’ করা হয়েছে। মোসেস তার ছেলেকে বলেছেন, গাজায় থাকা অবস্থায় হামাসের রক্ষীরা যা খেয়েছেন তাদেরকেও তাই খাইয়েছেন। এ সময় ইসরাইলি বোমাবর্ষণে তিনি ভয় পেতেন বলেও পরিবারকে জানিয়েছেন।

হামাস এর আগে বলেছিল, ইসরাইলি বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে পণবন্দিদের অবস্থানগুলোতে হামলা চালাত যাতে তাদেরকে জীবিত মুক্ত করার প্রয়োজন না হয়। পক্ষান্তরে হামাস যোদ্ধারা চেষ্টা করেছেন তাদেরকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে। পার্সটুডে

 

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.