পারিশ্রমিক না পেয়ে চট্টগ্রামে অনুশীলন বয়কট করেছিলেন রাজশাহীর ক্রিকেটাররা। বিসিবি সভাপতির চেষ্টায় ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক পেয়ে সেদিন খেলতে নেমেছিলেন তাসকিন আহমেদ-এনামুল হক বিজয়রা। তাৎক্ষণিক সমাধান হলেও সেটা খুব বেশি কাজে দেয়নি। চট্টগ্রামে হোটেল ভাড়া দিতে না পারা, ঢাকায় হোটেল বদল আরও ভাবনায় ফেলে দেয় ক্রিকেটারদের।
রংপুর রাজশাহীর বিপক্ষে ম্যাচের আগে বিজয়রা তাই বেঁকে বসেন। পারিশ্রমিক না পেলে মাঠে যাবেন না তারা। এমন হুমকির দেয়ার পর তাদের হাতে চেক তুলে দেয় মালিকপক্ষ। রংপুরের বিপক্ষে ম্যাচ জিতে অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ মজার ছলে বলেছিলেন, ‘মিরপুরের উইকেটের মতো চেক বাউন্স করলে ক্রিকেটারদের বিপদ হবে।’ ডানহাতি পেসারের এমন কথা বলার একদিন পরই আবারও চেক বাউন্স করেছে রাজশাহীর ক্রিকেটারদের।
দুদিন আগে হাতে পাওয়া চেক ব্যাংকে জমা দিলে সেটা প্রত্যাখান হয়েছে। যদিও ২ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে চেক ব্যাংকে জমা দিয়ে টাকা তোলার। তবে তাৎক্ষণিকভাবে চেক প্রত্যাখান হওয়ায় দুশ্চিন্তায় ক্রিকেটাররা। চুক্তি অনুযায়ী, পারিশ্রমিক না দেয়ার পাশাপাশি ১৮ দিনের দৈনিক ভাতাও দেয়া হয়নি ক্রিকেটারদের।
এবার জানা গেছে রাজশাহীর ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে ঢাকায় বাস করা ক্রিকেটারদের হোটেল ছাড়তে বলা হয়েছে। রাজশাহী তাদের খেলোয়াড়দের একটি বার্তা দিয়েছে। যেখানে তারা লিখেছে, ‘সাথে থাকার জন্য, আমাদের প্রতি বিশ্বাস রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। আপনাদের সাহায্য ছাড়া এত বড় একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব হতো না। পয়েন্ট টেবিল অনুযায়ী, আমাদের বর্তমান অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, যারা ঢাকার বাইরে থাকেন তারা এই হোটেলে অবস্থান করবেন এবং যারা ঢাকায় নিজেদের বাড়িতে থাকেন তাদেরকে আজ চেক আউট করার অনুরোধ করা হচ্ছে। পরবর্তী চেক ইন হবে পহেলা ফেব্রুয়ারি।’
ক্রিকেটাররা হোটেল ছাড়ার বার্তা পেয়ে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন। দলটির প্লে অফে খেলার সম্ভাবনা জোরালো। পয়েন্ট টেবিলে তারা অবস্থান করছে ৩ নম্বরে। যদিও তাদের প্লে অফে খেলা অনেকটাই নির্ভর করছে অনেক যদি কিন্তুর ওপর। তবে এমন মুহূর্তে হোটেল ছাড়াতে বলায় নিশ্চিতভাবেই বিপাকে পড়তে হচ্ছে দলটির ক্রিকেটারদের।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.