ভারতের সঙ্গে আগে যেভাবে কথা বলত, এবার টোনটা আলাদা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে দিল্লিতে সীমান্ত হত্যাকাণ্ড, নদীর পানির সুষম বণ্টন ও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে হওয়া সব ধরনের অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে। আগে যেভাবে কথা বলত, এবার কথার টোনটা আলাদা হবে।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জাহাঙ্গীর আলম।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আলোচনা করে দুই দেশের মধ্যে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। নদীর পানির সুষম বণ্টন, সীমান্তে বাংলাদেশিদের তুলে নিয়ে হত্যা, অপহরণ, মাদক ও চোরাকারবারি বন্ধে আমরা আলোচনা করব। এ ছাড়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রচার বন্ধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানাব।’

তিনি আরও বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয়রা অনেক সময় মাদক তৈরি করে। সেখানে তারা ফেন্সিডিল তৈরি করে আমাদের দেশে ঢুকিয়ে দেয়। তারা ফেন্সিডিলগুলো ওষুধ হিসেবে বানাচ্ছে বললেও আসলে এটা মাদক হিসেবেই বানানো হয়। সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো কাজ করতে হলে দুই পক্ষে অনুমতি নিতে হয়। এগুলো একপক্ষে করার নিয়ম নাই। যদিও তারা এভাবেই করতে চায়। উন্নয়নমূলকভাবে একটা মসজিদ বা মন্দির করতে হলে দুই দেশের সম্মতি প্রয়োজন হয়। আগামীতে কিছু করতে হলে যেন তারা সম্মতি নেয় এ বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী নদীগুলোর পানির সুষম বণ্টন, নদী থেকে পানি উত্তোলন, পানি চুক্তি বাস্তবায়ন এবং রহিমপুর খালের মুখ পুনঃউন্মুক্তকরণ নিয়েও আলোচনা হবে। দিল্লির বৈঠকে (সীমন্ত সম্মেলন) বিজিবি প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রের প্রতিনিধি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত থাকবেন বলেও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.