মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নিবন্ধনভুক্ত সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বৈঠক শেষে বিকালের দিকে শাহবাগে এ কথা জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এসএম মাসুদুল হক।
মাসুদুল হক বলেন, আপনাদের যে ছয় দফা দাবি ছিল সে ছয় দফা দাবিসহ আরও অতিরিক্ত বেশ কিছু বিষয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। আপনাদের প্রথম দফাতে সকল প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের যে দাবি ছিল তার সাথে একমত পোষণ করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাংলাদেশের সকল ইবতেদায়ী মাদ্রাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা হবে।
আপনাদের আরও বেশ কিছু দাবি ছিল যেমন- একাডেমিক স্বীকৃতি বন্ধ আছে সেটা আমরা এই জুন মাসে চালু করব। আমরা নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আপনাদের সব ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোকে এমপিওভুক্তকরণ ২০২৫ সাল থেকেই শুরু করব। প্রাথমিক পর্যায়ে যে ১৫১৯টি অনুদানভুক্ত প্রাথমিক স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা আছে সেগুলোসহ অন্যান্য সব মাদ্রাসা জাতীয়করণ করব। এ সময় শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠি চার্জের ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের দুঃখ প্রকাশ করেছে বলেও জানান মাসুদুল হক।
গত ১৯ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষকেরা জানিয়েছিলেন, ১৫ হাজার মাদরাসার ৭৫ হাজার শিক্ষক বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো সারা দেশের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলো জাতীয়করণের দাবিতে বছরের পর বছর আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষকেরা।
তাদের দাবি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নীতিমালা মেনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হলেও কোনো ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণ করা হয়নি। যত দ্রুত সম্ভব মাদরাসাগুলো জাতীয়করণ করতে হবে।
পরে রোববার (২৬ জানুয়ারি) প্রেস ক্লাব থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। তবে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা। ওই সময় তাদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ ছাড়াও লাঠিচার্জ করা হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন আন্দোলনরত ইবতেদায়ি শিক্ষকরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকরা।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.