প্লে-অফের আরও কাছে রাজশাহী

সিলেট স্ট্রাইকার্সের খুব বেশি কিছু পাওয়ার না থাকলেও দুর্বার রাজশাহীর জন্য ম্যাচটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। সিলেটের বিপক্ষে জিতলে প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে তাসকিন আহমেদের দলের। এমন ম্যাচে ১১৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খায় রাজশাহী। তানজিম হাসান সাকিব ও জন রাস জাগেশ্বরের দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ২২ রানে জিসান আলম, এনামুল হক বিজয়, সাব্বির হোসেন এবং ইয়াসির আলীকে হারায় তারা।

২২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়লেও রাজশাহীকে পথ হারাতে দেননি আকবর আলী ও রায়ান বার্ল। এস এম মেহেরবের স্পিনে সিলেটকে ১১৭ রানে আটকে দেয়ার পর ব্যাটিংয়ে রাজশাহীর জয়ের ভিতটা গড়ে দেনে আকবর ও বার্ল। উইকেটকিপার আকবর ৪৩ রানে ফিরলেও রাজশাহীকে ৫ উইকেটের জয় এনে দিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ৪৮ রানের ইনিংস খেলা বার্ল। ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ করেছেন তাসকিনরা। তবে দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্স হেরে যাওয়ায় প্লে-অফের আরও কাছে চলে গেছে রাজশাহী।

নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে খুলনা একটিতে হারলেই চতুর্থ দল হিসেবে সেরা চারে জায়গা করে নেবেন তাসকিনরা। রাজশাহীর জয়ে বিপিএল শেষ প্রথমবার দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে আসা ঢাকা ক্যাপিটালস। শেষ দুই ম্যাচে ফরচুন বরিশাল ও খুলনার বিপক্ষে জিতলেও সেরা চারে ওঠা হবে না থিসারা পেরেরা-লিটন দাসদের। রাজশাহীর কাছে হারা সিলেটও বিদায় নিয়েছে বিপিএল থেকে। আরিফুল হকদের শেষ ম্যাচটা তাই কেবলই আনুষ্ঠানিকতার।

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১১৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো করতে পারেনি রাজশাহী। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাব্বিরের উইকেট হারায় তারা। তানজিম সাকিবের দারুণ এক ডেলিভারিতে মিড উইকেট দিয়ে খেলার চেষ্টায় টপ এজ হয়ে আরিফুলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। পরের ওভারে আউট হয়েছেন আরেক ওপেনার জিসান আলম।

জন রাসের বলে ওয়াইড লং অনের দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে আরিফুলকে ক্যাচ দিয়েছেন। জিসানকে ফিরতে হয় ১১ রানে। পরের ওভারে বিজয়কে ফিরিয়েছেন তানজিম সাকিব। ডানহাতি পেসারের বলে জাকির হাসানকে ক্যাচ দিয়েছেন রানের খাতা খুলতে না পারা এই ব্যাটার। চারে নামা ইয়াসির আলী আউট হয়েছেন ২ রানে। দ্রুতই চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে রাজশাহী।

সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন আকবর ও বার্ল। তারা দুজনে মিলে গড়েন ৭৫ রানের জুটি। উইকেটকিপার আকবরের বিদায়ে ভাঙে তাদের দুজনের জুটি। আহসান হাফিজ ভাট্টির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে রুয়েল মিয়ার হাতে ক্যাচ দেন ৪৩ রানের ইনিংস খেলা আকবর। বার্ল ৪৮ রানে অপরাজিত থেকে রাজশাহীর জয় নিশ্চিত করেন। সিলেটের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন তানজিম সাকিব ও জন রাস।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.