বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি: থানায় জিডি

ইতালির রোম থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে ‘বোমা হামলার হুমকি’ এবং বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে বোমা রাখার ভুয়া বার্তার ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় পৃথক দুটি জিডি করা হয়েছে।

রবিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে এ দুটি জিডি করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বিমানবন্দরে কর্মরত এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্সের (এভসেক) সহকারী পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম এ দুটি জিডি করেন। তিনিই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জিডি করি।’

বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে বোমা রাখার ঘটনায় দায়ের করা জিডির তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল বাসার বলেন, ‘এ ধরনের জিডি হয়েছে। তদন্তভার দেওয়া হয়েছে আমাকে। এটি যেহেতু একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সেহেতু এর গুরুত্ব অনেক বেশি। প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে কারা এই হুমকি দিচ্ছে, সেটি চিহ্নিত করতে আমি চেষ্টা চালিয়ে যাবো।’

বোমা হামলার হুমকির ঘটনায় দায়ের করা জিডির কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এ ঘটনা উদঘাটনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং আমাদের অন্যান্য ইউনিটের সহায়তা নেবো। কারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’

জানা গেছে, গত ২২ জানুয়ারি রোম থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট (বিজি ৩৫৬) বোমা রাখার হুমকির বার্তা আসে এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের নম্বরে। পাকিস্তানের নম্বর থেকে আসা বার্তার পরপরই এটি বেবিচকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। পরে আড়াইশো যাত্রী এবং ১৩ ক্রু নিয়ে ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণ করে। এরপর বিমান বাহিনীর কুইক রেসপঞ্জ ফোর্স, বোমা বিশেষজ্ঞ টিম, এপিবিএনর কুইক রেসপঞ্জ টিম, ডগ স্কোয়াড, ডিএমপির স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা ব্যাপক তল্লাশি চালায়। কিন্তু কোনকিছুর অস্তিত্ব পান না। এই রেশ কাটতে না কাটতে মালয়েশিয়ার একটি নম্বর থেকে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে বোমা রাখা আছে এমন বার্তা আসে। এই বার্তা পাওয়ার পরপরই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কোনায় কোনায় চালানো হয় তল্লাশি। তবে এবারও কোনকিছুর অস্তিত্ব পান না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.