ছিনতাই-চাঁদাবাজি হচ্ছে অস্বীকার করছি না। তবে ছিনতাই-চাঁদাবাজিতে যারা জড়িত তাদের ধরা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি যতভাবেই হোক ছিনতাই-চাঁদাবাজি কমিয়ে আনার জন্য বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জরুরি সেবা (হটলাইন) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছিনতাই-চাঁদাবাজি হচ্ছে অস্বীকার করছি না। তবে যারা এসব করছে তারা ধরাও পড়ছে। আবার যারা ছাড়া পাচ্ছে তারাও এ ধরনের কাজ করছে, এটা সত্যি কথা। আমরা চেষ্টা করছি যতভাবেই হোক ছিনতাই-চাঁদাবাজি কমিয়ে আনার জন্য।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মুখে কারাগার থেকে পালানো বন্দির মধ্যে এখনো ৭০০ আসামি পলাতক। তাদের এখনও ধরা যায়নি। যারা ছিল তাদের বন্দি করে কারাগারে রাখা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের স্বল্পতা নেই তবে আগের মতো কাজের উদ্যম নেই। তাদের কাজের উদ্যম বাড়াতে সর্বদা চেষ্টা করছি।
যেসব শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিনে বেরিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের আবার তাড়াতাড়ি ধরে আইনের আওতায় আনা হবে। যেই ধরা পড়বে তাকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
৫ আগস্টের পর অনেক দাগি আসামিকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাধারণ ক্ষমতায় এখনো কেউ বের হয়নি। জামিন পেয়েছে তারা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, এখন থেকে ০৯৬১২০২১৬৯০ এই জরুরি হটলাইন নম্বরের মাধ্যমে বন্দির অবস্থান, প্যারোলে মুক্তি সম্পর্কিত তথ্য, শারীরিক অবস্থা, হাজিরা, সাক্ষাৎকার ও কথা বলার তারিখ জানা যাবে। বন্দির স্বজনরা এই হটলাইন নম্বরে ফোন দিয়ে যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন।
আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের এই জরুরি সেবা সার্ভিসে নিয়োগ দিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার কথাও জানান তিনি।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.