পরিবর্তিত দেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ কাস্টমস আমদানি-রপ্তানি সহজীকরণ ও পণ্যের নিরাপদ সরবরাহ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির গতি ফিরিয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) ‘আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত ও শক্তিশালী করে সমৃদ্ধ রাজস্ব ভাণ্ডার গঠনে বাংলাদেশ কাস্টমস অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। বর্তমানে বৈশ্বিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি, বাংলাদেশ কাস্টমসের দক্ষ জনবল প্রযুক্তিনির্ভর উপায়ে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের দ্রুত পরীক্ষণ, শুল্কায়ন ও খালাস নিশ্চিত করবে। ফলে পণ্যের সাপ্লাই চেইন সুসংহত হবে এবং নিশ্চিত হবে দেশের অর্থনীতির গতিশীলতা।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস-২০২৫ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। ‘কাস্টমস ডেলিভারিং অন ইটস কমিটমেন্ট টু ইফিসিয়েন্সি, সিকিউরিটি এন্ড প্রসপারিটি’ – মূল প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ডব্লিউটিও- ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন-এর সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশও বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস পালন করছে।
বাংলাদেশ কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেবাগ্রহীতা ও অংশীজনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসার, বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দেশীয় শিল্প ও বাজার সুরক্ষাসহ দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশ কাস্টমসের অনন্য ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশ কাস্টমসের দক্ষ জনবল দেশের রাজস্ব আহরণ নিশ্চিতের পাশাপাশি দেশের পরিবেশ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য তথ্য আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার মাধ্যমে দেশের জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন সাধন করে আসছে। এ প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি কাস্টমস দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘কাস্টমস ডেলিভারিং অন ইটস কমিটমেন্ট টু ইফিসিয়েন্সি, সিকিউরিটি এন্ড প্রসপারিটি’- অত্যন্ত সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ‘আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস- ২০২৫’ এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেছেন।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.