আরও ৪ ইসরায়েলি সেনাকে হস্তান্তর করেছে হামাস

গাজায় প্রতিষ্ঠিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী আরও চার ইসরাইলি নারী সেনাকে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এই চার নারী সেনা হলেন- করিনা আরিয়েভ, ড্যানিয়েলা গিলবোয়া, নামা লেভি এবং লিরি আলবাগ। তারা ইসরায়েলি সামরিক পর্যবেক্ষক সেনা, যাদের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলার সময় নাহাল ওজের একটি ঘাঁটি থেকে বন্দি করা হয়।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা ও ব্যক্তিগত সহায়তা প্রদানের জন্য একটি রিসেপশন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসার পর হাসপাতালে নেয়া হবে এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলন ঘটানো হবে।

এদিকে, চারজন ইসরায়েলি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগার থেকে ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাবেন । এটি হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে চুক্তির আওতায় দ্বিতীয় দফার বন্দি মুক্তি।

চুক্তি অনুযায়ী, আজ যে ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাচ্ছেন তাদের মধ্যে আল-কাসসাম ব্রিগেডের জেনিন শাখার কমান্ডার জাকারিয়া জুবাইদিও রয়েছে। ২০২১ সালে ইসরাইলের গিলবোয়া কারাগার থেকে খাবারের চামচ ব্যবহার করে গর্ত খুঁড়ে যেসব ফিলিস্তিনি বন্দি পালিয়ে এসেছিলেন জুবাইদি ছিলেন তাদের অন্যতম। কিন্তু পরে ইসরাইলি সেনারা জেনিন শরণার্থী শিবিরে হানা দিয়ে তার স্ত্রী ও সন্তানদের জিম্মি করার মাধ্যমে ৪৯ বছর বয়সি এই কমান্ডারকে আবার আটক করে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় এবং ওই দিনই প্রথম দফায় হামাস তিন ইসরাইলি নারী সেনাকে মুক্তি দেয়। এর বিনিময়ে ইসরাইলি সরকার ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেয়। প্রথম দফায় মুক্তিপ্রাপ্ত এই ৯০ জনের সবাই অধিকৃত পশ্চিম তীরের অফের কারাগার থেকে মুক্তি পান।

গাজা উপত্যকায় ১৫ মাসের আগ্রাসন সত্ত্বেও ইসরাইল নিজের ঘোষিত কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে না পেরে গত ১৫ জানুয়ারি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করে। চুক্তিটি কয়েক ধাপে বাস্তবায়িত হওয়ার মাধ্যমে ইসরাইল গাজা থেকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার করে নেবে বলে কথা রয়েছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, পার্সটুডে, ডিপিএ

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.