গাজার পর ইসরায়েলি হামলায় ঘর ছাড়ছেন জেনিনের বাসিন্দারা

টানা তৃতীয় দিনের মতো ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলার মুখে পশ্চিম তীরের জেনিন শহর এবং শরণার্থী শিবির ছাড়ছেন শত শত বাসিন্দা। এ পর্যন্ত সেখানে ১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম সপ্তাহেইপশ্চিম তীরে ইসরায়েলের এই অভিযান শুরু হয়৷ অভিযানটিতে ভারী সামরিক সরঞ্জামসহ হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে৷ যুদ্ধবিরতি ও বন্দি মুক্তি চুক্তির আওতায় ইসরায়েলি বন্দিদের পাশপাশি তাদের জেলে বন্দি ফিলিস্তিনেদেরও প্রথম দফায় মুক্তি দেয়া হয়েছে৷

ফিলিস্তিনি সূত্রে জানা গেছে, জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি সেনাদের অবস্থানে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনী দুটি বড় বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ইসরাইলি সৈন্যরা পশ্চিম তীরের গ্রাম ও শহরে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে।

ইসরায়েলের এক মুখপাত্র বলেন, শহরটির শরণার্থী শিবিরে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর উপস্থিতির তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে যেন জেনিনের ক্যাম্প থেকে অন্যান্য জায়গাতেও অভিযান পরিচালনা করা যেতে পারে৷’

রামাল্লাহর উত্তরে অবস্থিত “আল-মাজরা’আহ” গ্রামে এক ফিলিস্তিনির বাড়িকে সামরিক ব্যারাকে পরিণত করেছে ইসরাইলি দখলদার বাহিনী এবং ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে আটজন ফিলিস্তিনিকে ধরে নিয়ে গেছে।

জেনিনের গভর্নর কামাল আবু আল-রাব্বের মতে, ইসরাইলি সরকার জেনিনকে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধের একটি নতুন ফ্রন্টে পরিণত করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

পশ্চিম তীরে ব্যাপক ইসরাইলি সেনা মোতায়েনের কথা উল্লেখ করে জেনিনের গভর্নর বলেন যে ইসরাইল সরকার জেনিন প্রদেশকে গাজার মতো বিধ্বস্ত এলাকায় পরিণত করার চেষ্টা করছে।

সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার সকালে জেনিন শহরে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর হামলার নিন্দা জানিয়ে ইসরাইলের আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি লঙ্ঘন বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছে।

ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-নোয়েল ব্যারোটও জেনিন শহরে ইসরাইলি হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এই হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র: পার্সটুডে, ডিডাব্লিউ, রয়টার্স

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.