বাজারে আসছে ৩ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ সুকুক

‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) (সিআইবিআরআর-২)’ শীর্ষক প্রকল্পের বিপরীতে ৫ম বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ সুকুক ইস্যুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

আগামী মার্চ মাসে আলোচ্য এ প্রকল্পটির বিপরীতে ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক ইস্যুর পরিকল্পনা রয়েছে। এর আগে ইস্যু করা অন্যান্য সুকুকের মতো ৫ম সুকুকটিও সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বিপরীতে ইস্যু করা হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, প্রকল্পটির মাধ্যমে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রকল্প এলাকার আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষি ও অকৃষি পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সহজীকরণ ও ব্যয় হ্রাস এবং স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত হচ্ছে।

দেশি-বিদেশি ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীদের সুকুকে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক, ফাইন্যান্স কোম্পানি বা বীমা কোম্পানির অনুকূলে ৭০ শতাংশ, কনভেনশনাল ব্যাংকগুলোর ইসলামিক ব্রাঞ্চ ও উইন্ডোজ এর অনুকূলে ১০ শতাংশ এবং ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারী, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ডিপোজিট ইন্সুরেন্স প্রভৃতি বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে ২০ শতাংশ সুকুক বরাদ্দের হার পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।

সকল কনভেনশনাল ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা কোম্পানি শর্তসাপেক্ষে নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে, ৩টি শ্রেণিতে প্রয়োজনীয় সাবস্ক্রিপশন না পাওয়া গেলে তাদের মধ্যে অবশিষ্ট সুকুক আনুপাতিক হারে বরাদ্দ দেয়া হবে।

নিবাসী ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীগণ তাদের নিজস্ব ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সুকুকে বিনিয়োগ করতে পারবে। অনিবাসী ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে কার্যরত যে কোনো ব্যাংকে তাদের নামে পরিচালিত অনিবাসী বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব অথবা অনিবাসী টাকা হিসাবের মাধ্যমে সুকুকে বিনিয়োগ করতে পারবে এবং মুনাফা, বিক্রনালব্ধ অর্থ ও মেয়াদপূর্তিতে প্রাপ্ত আসল বৈদেশিক মুদ্রায় (সকল প্রকার প্রযোজ্য ফি এবং/অথবা কর কর্তনপূর্বক) প্রত্যাবাসনযোগ্য।

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.