মিয়ানমারের একটি বন্দি শিবিরে সামরিক জান্তার বিমান হামলায় শিশুসহ ২৮ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন। পশ্চিম রাখাইন রাজ্যের একটি অস্থায়ী বন্দি শিবিরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানান হয়েছে।
এএ তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকালে ম্রাউক-উ টাউনশিপের একটি বন্দি শিবিরে সামরিক বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান হামলা চালায়। ওই বন্দি শিবিরে জান্তা সেনাদের পরিবারের সদস্যদের এএ আটক করে রেখেছিল।
পোস্টে এএ বলেছে, হতাহতদের মধ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যদের পরিবার ছিল। আমরা তাদের লড়াইয়ের সময় আটক করেছিলাম। তাদের মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা চলছিল। আর এমন সময় সেখানে বিমান হামলা চালানো হল।
নিহতদের মধ্যে ৯ জন শিশু ছিল বলে জানিয়েছে এএ। নিহত অন্যরা সবাই নারী বলে নিহতদের তালিকায় উল্লেখ করেছে এই গোষ্ঠী।
মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তীব্র লড়াইয়ে লিপ্ত এএ। গত এক বছরে এই গোষ্ঠী বেশ কিছু অঞ্চল দখল করেছে। এতে আরাকানের রাজধানী সিত্তে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
রাখাইনে এই সংঘাত মিয়ানমারের রক্তাক্ত সংঘর্ষের একটি অংশমাত্র, যা শুরু হয় ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর। ওই অভ্যুত্থানে অং সান সু চির বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে সামরিক জান্তা। এতে দেশজুড়ে শুরু হয় সশস্ত্র বিদ্রোহ।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.