স্পেস ডকিং সফল, মহাকাশে নতুন ইতিহাস গড়ল ভারত

২০৩৫ সালের মধ্যে নিজস্ব আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন স্থাপন করতে জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারত। আর সেই লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ‘মহাকাশ ডকিং’ পরীক্ষায় সফল হয়ে নতুন ইতিহাস গড়ল দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের পর বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে ভারত এ সাফল্য অর্জন করল। দু’টি ছোট মহাকাশযান বা ভিন্ন কৃত্রিম উপগ্রহকে একই বিন্দুতে আনার প্রক্রিয়া হচ্ছে স্পেস ডকিং পদ্ধতি।

মহাকাশ গবেষণার অত্যন্ত জটিল এই প্রক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার স্পেডেক্স ১ (চেজার) ও স্পেডেক্স ২ (টার্গেট)-কে একত্রিত করার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।

এর মধ্য দিয়ে মহাকাশে আন্তর্জাতিক স্টেশন তৈরির পথ আরও প্রশস্ত হল ভারতের।

গত ৩০ ডিসেম্বর স্পেস ডকিংয়ের জন্য অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের ‘লঞ্চিং প্যাড’ থেকে পিএসএলভি-সি৬০ রকেট উৎক্ষেপণ করে ইসরো।

সেই রকেটের প্রধান পেলোড হিসাবেই পাঠানো হয়েছিল স্পেডেক্স ১ এবং ২-কে। এ ছাড়া, ২৪টি সেকেন্ডারি পেলোডও পাঠানো হয়েছিল।

পৃথিবী থেকে ৪৭০ কিমি উপরে মহাকাশে অক্ষাংশে একই বিন্দুতে স্পেডেস্ক ১ ও ২-কে একত্রিত করা হবে বলে জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। বৃহস্পতিবার তা-ই করে দেখিয়েছেন তারা।

বিবিসি জানায়, বিজ্ঞানীরা এই স্পেস ডকিং পরীক্ষা চালানোর সময় ব্যাঙ্গালোরে ইসরোর কার্যালয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এক্সে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ““স্যাটেলাইটের মহাকাশ ডকিংয়ের সফল প্রদর্শনের জন্য ইসরোর বিজ্ঞানীদের এবং এ কাজের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে অভিনন্দন। আগামী বছরগুলোতে মহাকাশে ভারত আরও অভিযান চালাবে। স্পেস ডকিং আমাদের মহাকাশ অভিযানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।”

স্পেস ডকিং-মিশন নিয়ে অনেকদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে আসছে ইসরো। তবে কোনও না কোনও সমস্যার কারণে তা বারবার পিছিয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে সাফল্য এল।

এক্সে এ সাফল্যর কথা জানিয়ে ইসরো লিখেছে, “মহাকাশযান ডকিং সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে! এ এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।”

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.