যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩০

দীর্ঘ ১৫ মাস পর গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরাইল। আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তাদের বর্বর হামলায় অন্তত ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে চালানো ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, দীর্ঘ ১৫ মাস যুদ্ধের পর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে বলে মধ্যস্থতাকারীরা নিশ্চিত করার পর গাজার ফিলিস্তিনিরা আনন্দ উদযাপন করছেন। আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে চলেছে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরও ইসরায়েলি বাহিনী অবশ্য গাজা উপত্যকা জুড়ে তাদের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এবং চুক্তির কথা ঘোষণার পর থেকে এই ভূখণ্ডে অন্তত ৩০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।

হামাসের কর্মকর্তা ইজ্জাত আল-রিশেক বলেছেন, কাতারের রাজধানী দোহায় যে চুক্তি হয়েছে তাতে গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, বাস্তুচ্যুত লোকদের তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়া এবং যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তিসহ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর সমস্ত শর্তই পূরণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে “জিম্মি ও তাদের পরিবারের দুঃখকষ্টের” অবসানে চুক্তি “এগিয়ে নিতে সহায়তা” করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস, যাদের মধ্যে সব নারী, শিশু ও ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষরা রয়েছেন।

গাজার জনবহুল এলাকা থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে গাজার সীমান্তের ৭০০ মিটারের বেশি দূরে অবস্থিত এলাকায় ইসরায়েল তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করবে।

ইসরায়েল বেসামরিক নাগরিকদের গাজার উত্তরে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে দেবে এবং প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক পর্যন্ত ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দেবে।

শর্ত পূরণ হলে চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে ইসরাইলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে অবশিষ্ট সব জীবিত জিম্মিদের মুক্তি ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিষয় রয়েছে।

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.