নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, শপথ অনুষ্ঠানে হামলার বিষয়ে তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে এর আগে ট্রাম্পের ওপর কয়েকবার হামলা হয়েছে। আর তাই তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছেন।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ব্রিটেনের সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্পের অভিষেককে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট স্পেশাল এজেন্ট ইনচার্জ ম্যাট ম্যাককুল এই নিরাপত্তার বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেককে ঘিরে বড় ধরণের হুমকি রয়েছে।
এফবিআই ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ নিউ অরলিন্স কায়দায় হামলা হওয়ার আশঙ্কা আছে বলে পুলিশকে সতর্ক করেছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ গ্রহণ করবেন ট্রাম্প। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, রাজনীতিবিদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা, বিদেশি অতিথিরা, কংগ্রেসের অন্য সদস্যরাসহ সাধারণ নাগরিকরা।
তাই কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৩০ মাইল বা ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ, সাত ফুট-লম্বা বা দুই মিটার লম্বা কালো অস্থায়ী বেড়া নির্মাণ করা হয়েছে। ২৫ হাজার আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা, প্রায় সাত হাজার ৮০০ ন্যাশনাল গার্ড সৈন্য এবং চার হাজার পুলিশ নিরাপত্তা জোরদারের কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
সেই সঙ্গে শপথ গ্রহণের দিন ডাউনটাউন ওয়াশিংটনের একটি বড় অংশ, হোয়াইট হাউস থেকে ক্যাপিটাল হিল পর্যন্ত প্রায় দুই মাইল বা ৩ কিলোমিটার রাস্তায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, শপথ অনুষ্ঠানে হামলার বিষয়ে তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে এর আগে ট্রাম্পের ওপর কয়েকবার হামলা হয়েছে। আর তাই তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছেন।
ওয়াশিংটন পুলিশের প্রধান থমাস ম্যাঞ্জার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আগামী সপ্তাহ জুড়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা বহাল থাকবে।’
অন্যদিকে শহরের বাসিন্দারা এই সপ্তাহে ছুটি কাটাতে যাচ্ছে। স্মিথ ট্রাভেল রিসার্চের তথ্য এবং ওয়াশিংটনের সরকারী পর্যটন সংস্থা ডেস্টিনেশন ডিসির ডেওয়া তথ্য অনুসারে, ওয়াশিংটনের সাড়ে ৩৪ হাজার হোটেলের প্রায় ৭০ শতাংশ সোমবার রাতের জন্য ইতোমধ্যে বুক করা হয়ে গিয়েছে। ২০১৭ সালে ট্রাম্পের অভিষেককালে এর হার ছিল প্রায় ৯৫ শতাংশ।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.