অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, আগামী বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সে বৈঠকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্রের একটি দলিল প্রণীত হবে। সেদিনই ঘোষণাপত্রটি কবে এবং সরকার কীভাবে জারি করার ব্যাপারে ভূমিকা রাখবে তা স্পষ্ট হবে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ৩১ ডিসেম্বর ছাত্রদের নেতৃত্বে জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীতে সরকার এ বিষয়ে সবার সঙ্গে কথা বলে এই ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দেয়।
তিনি বলেন, গত ১২ থেকে ১৩ দিন ছাত্রদের ঘোষণাপত্র অবলম্বনে অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল থেকে একটি ঘোষণাপত্রের খসড়া তৈরির চেষ্টা করেছি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্টেকহোল্ডার যারা আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। তাদের অভিমত নেওয়ার চেষ্টা করেছি। সবার সঙ্গে কথা বলা হয়ে ওঠেনি কিন্তু রাজনৈতিক দল জামায়াত, নারী ও শিক্ষক ও ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে কথা বলেছি।
তিনি আরও বলেন, তারা সবাই ঘোষণাপত্রের বিষয়ে একমত আছেন। ঘোষণাপত্র দিতে হবে কিন্তু ঘোষণাপত্রটি কবে দেওয়া হবে এবং ঘোষণাপত্রের ভেতরে কী কী কনটেন্ট থাকবে সে বিষয়ে এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারিনি। তবে বৃহস্পতিবার ঘোষণাপত্রটি চূড়ান্ত হবে। আশা করি বাংলাদেশের জনগণ এবং ছাত্রদের নেতৃত্বে যে গণঅভ্যুত্থান পরিচালিত হয়েছে সেই গণঅভ্যুত্থানের একটি প্রেক্ষাপট ও প্রত্যাশা এই ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হবে। সব রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই ঘোষণাপত্রটি প্রচারিত এবং ঘোষিত হবে।
জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে মাহফুজ আলম বলেন, বিগত সময়ে জাতীয় পার্টির ভূমিকা তো স্পষ্ট। যেহেতু আমরা তাদেরকে এখন পর্যন্ত কোনও মিটিংয়ে ডাকিনি, এই বিষয়েও তাদের সঙ্গে কথা বলা আমরা যৌক্তিক মনে করছি না। বাম সংগঠন তো অনেকগুলো আছে কিন্তু যেগুলো গণঅভ্যুথানের সঙ্গে সহযোগী ছিল, অংশগ্রহণ করেছেন তাদের সঙ্গে অবশ্যই কথা হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহাম্মদ ও সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.