গণঅভ্যুত্থানে পতিত সাবকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনর অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম।
গত ৫ আগস্ট হাসিনার সরকারের পতনের পর ২৫ আগস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) নাঈমুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে।
বিএফআইইউ এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাঈমুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের সদস্যদের ১৬৩টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে। হাসিনা সরকারের পতনের আগে এসব হিসাবে ৩৮৬ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বর্তমানে হিসাবগুলোতে ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা জমা রয়েছে।
প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, নাঈমুল ইসলাম খানের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ৯১টি। এসব হিসাবে ২৪৯ কোটি টাকা জমা হয়। এর মধ্যে ২৩৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা তিনি উত্তোলন করেছেন।
নাঈমুল ইসলাম খানের স্ত্রী নাসিমা খান মন্টির ১৩টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে। এসব হিসাবে ১৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা জমা হয়। এর মধ্যে ১৩ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
তাদের তিন মেয়ের ব্যাংক হিসাবেও বিপুল অঙ্কের অর্থ জমা হওয়ার তথ্য মিলেছে প্রতিবেদনে। সেখানে আদিবা নাঈম খানের হিসাবে ৩৫ লাখ, লাবিবা নাঈম খানের অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ২৫ লাখ এবং যূলিকা নাইম খানের অ্যাকাউন্টে ৬১ লাখ টাকা জমা হয়েছে।
এসব অর্থের বেশিরভাগই উত্তোলন করা হয়েছে বলে বিএফআইইউ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এছাড়াও নাঈমুল ইসলাম খানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ৪৬টি হিসাবে জমা হয়েছে ১২৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২১ লাখ টাকা ছাড়া বাকি টাকা উত্তোলন করেছেন তিনি।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, নাঈমুল ইসলাম খানের স্ত্রী ও তিন মেয়ে ১২টি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। এই কার্ডগুলো দিয়ে ২৮ লাখ ৩৫ হাজার ৩৬৭ টাকা লেনদেন হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান নাঈমুল ইসলাম খান।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.