হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা সীমান্তের বড়কিয়া এলাকায় ভারতের অভ্যন্তরে জহুর আলী (৫০) নামে এক বাংলাদেশির মরদেহ নিয়ে গেছে দেশটির পুলিশ। মরদেহটি ভারতের খোয়াই হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জহুর আলী ওই উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ডুলনা গ্রামের গনকিপাড়ার মনসুব উল্লাহর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে জহুর আলী একজন সঙ্গীকে নিয়ে বাল্লার গুইবিল সীমান্তে যান। এ সময় বিএসএফ ধাওয়া দিলে তাদের হাতে ধরা পরেন জহুর আলী। পালিয়ে যান তার সঙ্গী। মঙ্গলবার সকালে তারা জানতে পারেন, ভারতের খোয়াই স্টেশনের পুলিশ মরদেহ নিয়ে গেছে। তাদের ধারণা তাকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ সীমান্তে ফেলে রাখা হয়।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলম বলেন, ভারতের ভেতরে বড়কিয়া সীমান্তে একজন বাংলাদেশির মরদেহ খোয়াই পুলিশ স্টেশনের পুলিশ নিয়ে গেছে। তার মরদেহ খোয়াই হাসপাতালে রাখা হয়েছে বলে জেনেছি। তবে কীভাবে তিনি মারা গেছেন বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। এখন মরদেহ আনার জন্য বিজিবির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করতে হবে। আমাদের এ বিষয়ে কিছু করার নেই।
হবিগঞ্জ ৫৫ বিজিবির অপারেশন অফিসার আদম আলী বলেন, জানতে পেরেছি একজন বাংলাদেশির মরদেহ ভারতীয় পুলিশ নিয়ে গেছে। ঘটনাস্থল ভারতের অভ্যন্তরে হওয়ায় লাশটি তারা নিয়ে যায়। এখনো আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারিনি। কীভাবে মারা গেছেন তাও জানা যায়নি।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.