ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি, নারী-শিশুসহ ২৭ অভিবাসীর মৃত্যু

তিউনিশিয়ার মধ্যাঞ্চলের উপকূলে দুটি নৌকা ডুবে নারী, শিশুসহ ২৭ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ৮৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দেশটির সিভিল ডিফেন্সের একজন কর্মকর্তা বরাত দিয়ে এএফপি এ তথ্য জানিয়েছেন।

সিভিল ডিফেন্সের প্রধান জিয়েদ সাদিরি জানিয়েছেন, জীবিত উদ্ধারকৃত ও মৃত যাত্রীরা সবাই সাব-সাহারান আফ্রিকার নাগরিক এবং তারা ইউরোপে পৌঁছনোর উদ্দেশে যাত্রা করেছিল।

লাশ ও জীবিত ব্যক্তিদের তিউনিশিয়ার মধ্যাঞ্চলের কারকেন্নাহ দ্বীপপুঞ্জের উপকূলে পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া তিউনিশিয়ায় কোস্ট গার্ডের তত্ত্বাবধানকারী ন্যাশনাল গার্ড জানিয়েছে, অন্য নিখোঁজ যাত্রীদের খুঁজে বের করার জন্য তল্লাশি এখনো চলছে।

এএফপির তথ্য মতে, ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করা অভিবাসীদের জন্য তিউনিশিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ যাত্রাপথ। সাধারণত দেশটি থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপ তাদের প্রথম গন্তব্য হয়।

প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে, যেখানে সাম্প্রতিক সময়ে নৌকাডুবির ঘটনা বেড়েছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে এ যাত্রা আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
গত ১৮ ডিসেম্বর স্ফ্যাক্স শহরের উপকূলে অন্তত ২০ জন সাব-সাহারান অভিবাসী একটি নৌকাডুবিতে প্রাণ হারায় এবং পাঁচজন নিখোঁজ হয়। এর আগে ১২ ডিসেম্বর কোস্ট গার্ড স্ফ্যাক্সের উত্তরে জেবেনিয়ানার কাছে ২৭ জন আফ্রিকান অভিবাসীকে উদ্ধার করেছিল।

তিউনিশিয়ার মানবাধিকার সংগঠন এফটিডিইএসের তথ্য মতে, চলতি বছরের শুরু থেকে তিউনিশিয়ার উপকূলে নৌকাডুবিতে ‘৬০০ থেকে ৭০০’ অভিবাসী নিহত বা নিখোঁজ হয়েছে। ২০২৩ সালে এক হাজার ৩০০ জনের বেশি অভিবাসী মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.