প্রবাসী আয়ে রেকর্ডের পর বেড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালের শেষ মাস অর্থাৎ ডিসেম্বরে দেশে ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এর প্রভাবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বিপিএম ৬ অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৫ কোটি ৯০ লাখ ডলারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, বিপিএম ৬ অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৫ কোটি ৯০ লাখ ডলারে উঠেছে। অপরদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬২০ কোটি ৪০ লাখ ডলারে।

এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল। করোনা মহামারির মধ্যে ওই মাসে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২৫৯ কোটি ডলার।

গত কয়েক মাসে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ও বিদেশি ঋণের অর্থছাড়ের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। এরপর আগস্টে গঠন করা হয় নতুন সরকার। নতুন সরকার গঠনের পর প্রতি মাসেই ২০০ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে। তবে ডিসেম্বরে আসা ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় পুরোনো সব রেকর্ড ভেঙেছে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত মাসে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আর ২০২৩ সালের চেয়ে বিদায়ী বছরে ২৩ শতাংশ বেশি প্রবাসী আয় দেশে এসেছে।

প্রবাসী আয় হলো দেশে ডলার জোগানের একমাত্র দায়বিহীন উৎস। কারণ, এই আয়ের বিপরীতে কোনো বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয় না অথবা কোনো দায়ও পরিশোধ করতে হয় না।

অপরদিকে রপ্তানি আয়ের বিপরীতে দেশে ডলার এলেও তার জন্য কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতে আবার বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয়। অন্যদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতেও ডলারের প্রয়োজন হয়। ফলে প্রবাসী আয় বাড়লে দেশে ডলারের মজুতও দ্রুত বাড়ে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.