আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পদোন্নতি বঞ্চিত ৭৬৪ জন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাকে সরকারি চাকরিতে পুনঃবহাল না করা এবং ভবিষ্যতে তারা কখনও পুনঃর্বহালের দাবি করতে পারবে না এমন শর্তে পদোন্নতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
অবসরপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে ‘স্ট্যাগার্ড ওয়ে’তে শুধু বকেয়া বেতন বাবদ ২১ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
পরবর্তীতে একই শর্তে পর্যায়ক্রমে তাদের বকেয়া আনুতোষিক ও পেনশন বাবদ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রতা সাধনের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গত ২৬ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতির প্রতিবেদন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ১৫ দিনের মধ্যে এবং সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত প্রতি মাসের ৪ তারিখে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মনিটরিং সাব-ডিভিশনে পাঠানোর নির্দেশেনা দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
এর আগে, গত ২৪ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে অবসরোত্তর কর্মকর্তাকে পদন্নোতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি বাস্তবায়নে বকেয়া বেতন, আনুতোষিক, পেনশন বাবদ এককালীন আনুমানিক ৪২ কোটি টাকা এবং পরে পেনশন বাবদ বার্ষিক অতিরিক্ত ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন হতে পারে বলে অর্থবিভাগ থেকে জানা গেছে।
২০০৯ সাল থেকে গত ৪ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের আমলে সরকারি চাকরিতে নানাভাবে বঞ্চনার শিকার এবং এ সময়ের মধ্যে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য গত ১৬ সেপ্টেম্বর কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির প্রধান ছিলেন সাবেক অর্থসচিব এবং বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের সাবেক বিকল্প নির্বাহী পরিচালক জাকির আহমেদ খান।
কমিটি ১০ ডিসেম্বর তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয়।
সম্প্রতি উপদেষ্টা পরিষদ এ সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয়। এবং জনপ্রশাসন ও অর্থ বিভাগকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.