ভারতীয় সীমান্তে দায়িত্ব পালনকালে বিজিবি এখন আর পিঠ প্রদর্শন করবে না। বুক চিতিয়ে লড়বে। তাদের সেই ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বায়তুল ইজ্জত বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের ১০২তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তে যারা হুংকার দিচ্ছে, আমরা তাদের সেই ধরনের প্রত্যুত্তর দিচ্ছি। ভারতের মিডিয়া প্রচুর মিথ্যাচার করছে। বাংলাদেশের মিডিয়া সত্য ঘটনা প্রকাশ করে প্রত্যুত্তর দিচ্ছে। এ জন্য আমাদের সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাই। সীমান্ত হত্যা এখনো শূন্যের কোটায় আনা সম্ভব হয়নি। খাসিয়াপল্লীতে পরপর দুটি ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এখনো কিছুটা সমস্যা রয়ে গেছে। সেখানে এপারেও খাসিয়া, ওপারেও খাসিয়া। এপার থেকে অনেক সময় ওপারে যায়। তখন নিজেদের মধ্যে চলমান সমস্যাগুলো নিয়ে ঝামেলা হয়। সম্প্রতি সংঘটিত ঘটনাগুলো দুই গ্রুপের অন্তঃকোন্দলের কারণে হয়েছে, বিএসএফ করেনি।
মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গতকাল আমি মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শন করে এসেছি। বিজিবির মহাপরিচালকও সাথে ছিলেন। সেখানে উল্লেখযোগ্য কোনো উত্তেজনা নেই। সীমান্ত সম্পূর্ণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আরকান আর্মি এবং মিয়ানমার আর্মির মধ্যে যুদ্ধ চলছে। আরকান আর্মি সীমান্তের মিয়ানামার অংশ দখল করে নিচ্ছে। এখন আমাদের উভয় পক্ষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে হচ্ছে। এখন মিয়ানমার সরকারের সাথে পতাকা বৈঠক করার মতো কোনো জায়গা নেই। কারণ তারা এই পাড়ে আসতে পারে না। আরকান আর্মির সাথেও আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। তবে সীমান্তে শঙ্কার কোনো কারণ নেই।
তিনি আরো বলেন, ‘সেন্ট মার্টিন যেতে হলে আমাদের নাফ নদ দরকার হয়। বিজিবি এবং কোস্টগার্ড যেতে কোনো প্রকার বাঁধা দেয় না। অনেক সময় পর্যটকবাহী বড় জাহাজগুলোকে একটু বাঁধা দেয়। বিষয়টি নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা চলছে। আশা করছি, অচিরেই সমাধান হয়ে যাবে।’
গতকাল সোমবার সকালে টেকনাফের হ্নীলার জাদিমুড়া পাহাড়ে বন বিভাগের জায়গায় চারা রোপণ করার সময় অপহৃত ১৯ শ্রমিকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। অচিরেই উদ্ধার হবে, ইনশাআল্লাহ।’
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.